ঢাকা ১০:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঠাকুরগাঁওয়ের আরেক মাফিয়া – ১ আলাদিনের চেরাগ পাওয়া বালিয়াডাঙ্গীর বেলাল দুদকের নজদারীতে

নিজস্ব প্রতিবেদন :

বালিয়াডাঙ্গীর বেলাল ক’বছরে আলাদিনের আশ্বর্য্য চেরাগ পেয়ে এখন আংগুল ফুলে কলাগাছে রুপান্তরীত হয়েছে।আদালতে অভিযোগের প্রেক্ষিতে তার বিষয়ে দুদক তদন্তে নেমেছেন বলে জানাগেছে।

বাবার সম্পত্তির বিবরণ:

বেলালের বাবার নাম বাবর আলী ওরফে বুলবুল।বাড়ী বালিয়াডাঙ্গীর চাড়োলের মধুপুর কালিতলা গ্রামে।

বাবার তেমন কোন স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি না থাকলে এখন বাবা,ছেলে ও ভাইয়ের নামে বেনামে অঢেল সম্পদ রয়েছে।ক’বছর আগে বাবা চুরি করে বেড়াতো বলে এলাকাবাসী এমন তথ্য জানিয়েছেন।

বালিয়াডাঙ্গীসহ এলাকার আশ পাশের সকল বৈদ্যুতিক লাইনের তাজিয়ায় উঠে তামার তার চুরি করে বিক্রি করেছে।ট্রান্সমিটার ও তাজিয়ার এঙ্গেল চুরি করে বিক্রির দায়ে জেলও খেটেছে।

কয়েক বছর আগে বালিয়াডাঙ্গী প্রেট্রোল পাম্পের পূর্ব পাশে বালিয়াডাঙ্গী থেকে ঠাকুরগাও গামী ১১ হাজার কেবি বৈদ্যুতিক লাইনের তামার তার কাটতে গিয়ে বেলালের বাবা বাবর আলী ওরফে বুলবুলের সহচর দেলোয়ার ওরফে দুলু বৈদুতিক তারের সাথে জড়িয়ে মারা যায়।তার বাড়ী বুলবুলের বাড়ীর পাশে উত্তর বালিয়াডাঙ্গী গ্রামে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কালিতলা গ্রামের প্রবীন শিক্ষক জানান,গ্রামে বুলবুলের অত্যচারে গ্রামের মানুষ অতিষ্ঠ ছিল।চুরি বিদ্যায় সে অত্যন্ত দক্ষ ছিল।ধান,চাল,বেগুন,পটল,শুকনা মরিচ ও শুকনা মরিচগুলো চোখে চোখে রাখতে হতো।ঘর থেকে বের করে নিয়ে পালাতো মুহুর্ত্বের মধ্যে।গ্রামের মানুষ তার বাবা গাঠিয়া ডাক্তারকে বিচার দিয়ে দিয়ে যখন কুল কিনারা পাচ্ছিলো না তখন গ্রাম বাসি বুলবুলকে গ্রাম থেকে তাড়িয়ে দেয়।

ওই শিক্ষক আরো জানান,আমরাতো এখন অবাক!এতো অল্প সময়ে বুলবুল ও তার ছেলে কিভাবে শতকোটির টাকার মালিক হলো? এমন প্রশ্ন শুধু ওই শিক্ষকের নয় এলাকার অসংখ্য মানুষের।

অনুসন্ধ্যানে জানা গেছে,১৯৮৮ সালের শেষের দিকে চুরির দায়ে গ্রাম থেকে বিতারিত হওয়ার পর বালিয়াডাঙ্গী বাজারে জঙ্গলবাড়ী গ্রামের নজির ঝালাইয়ের দোকানে কর্মচারী ছিলেন বুলবুল। নজির মৃত্যুর পর বালিয়াডাঙ্গীতে একটি ঝালাইয়ের দোকান দেন বুলবুল।দোকানের আড়ালে চলে বৈদ্যুতিক তামার তার,ট্রান্সফর্মার ও এঙ্গেল চুরি কাজ। দুর্ধর্ষ চোর হিসেবে এলাকায় তার নাম আতংক ছড়িয়ে পরে। এ নামাতংক ব্যবহার করে বালিয়াডাঙ্গী সেন্টারপাড়ার হাকিমউদ্দীনের বাড়ীর যায়গা নাম মাত্র টাকা দিয়ে দলীল করে দখল করে বাড়ী করেন।পরে মামলা হলে আদালত থেকে উচ্ছেদের আদেশ পান হাকিমউদ্দিন।কিন্তু তার প্রভাবের কারণে এখনো দখল উচ্ছেদ করতে পারেনি আইন প্রয়োগকারীরা।এলাকার দুর্ধর্ষ লোক হিসেবে যা খুশী তাই করতে চান বুলবুল। দোকানে অবৈধ বিদ্যুৎ ব্যবহারের দায়ে আদালত তাকে জেলে পাঠান। জেল থেকে এসে আবারও জোড়ে শোরে শুরু করে চুরি কাজ।তার উপর প্রশাসনিক নজরদারী বাড়ানোর কারণে ধীরে ধীরে চুরি কাজ ছেড়ে দেন।শুরু করেন লেদ ওয়ার্কসপের ব্যবসা।পাশাপাশি ছেলে বেলাল শুরু করে সমিতির কার্যক্রম।চলবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয়

ঠাকুরগাঁওয়ে উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরে জেলা আওয়ামীঃ রাজনীতিতে বিভক্তি হওয়ার আশঙ্কা

ঠাকুরগাঁওয়ের আরেক মাফিয়া – ১ আলাদিনের চেরাগ পাওয়া বালিয়াডাঙ্গীর বেলাল দুদকের নজদারীতে

আপডেট : ১০:৪৪:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদন :

বালিয়াডাঙ্গীর বেলাল ক’বছরে আলাদিনের আশ্বর্য্য চেরাগ পেয়ে এখন আংগুল ফুলে কলাগাছে রুপান্তরীত হয়েছে।আদালতে অভিযোগের প্রেক্ষিতে তার বিষয়ে দুদক তদন্তে নেমেছেন বলে জানাগেছে।

বাবার সম্পত্তির বিবরণ:

বেলালের বাবার নাম বাবর আলী ওরফে বুলবুল।বাড়ী বালিয়াডাঙ্গীর চাড়োলের মধুপুর কালিতলা গ্রামে।

বাবার তেমন কোন স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি না থাকলে এখন বাবা,ছেলে ও ভাইয়ের নামে বেনামে অঢেল সম্পদ রয়েছে।ক’বছর আগে বাবা চুরি করে বেড়াতো বলে এলাকাবাসী এমন তথ্য জানিয়েছেন।

বালিয়াডাঙ্গীসহ এলাকার আশ পাশের সকল বৈদ্যুতিক লাইনের তাজিয়ায় উঠে তামার তার চুরি করে বিক্রি করেছে।ট্রান্সমিটার ও তাজিয়ার এঙ্গেল চুরি করে বিক্রির দায়ে জেলও খেটেছে।

কয়েক বছর আগে বালিয়াডাঙ্গী প্রেট্রোল পাম্পের পূর্ব পাশে বালিয়াডাঙ্গী থেকে ঠাকুরগাও গামী ১১ হাজার কেবি বৈদ্যুতিক লাইনের তামার তার কাটতে গিয়ে বেলালের বাবা বাবর আলী ওরফে বুলবুলের সহচর দেলোয়ার ওরফে দুলু বৈদুতিক তারের সাথে জড়িয়ে মারা যায়।তার বাড়ী বুলবুলের বাড়ীর পাশে উত্তর বালিয়াডাঙ্গী গ্রামে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কালিতলা গ্রামের প্রবীন শিক্ষক জানান,গ্রামে বুলবুলের অত্যচারে গ্রামের মানুষ অতিষ্ঠ ছিল।চুরি বিদ্যায় সে অত্যন্ত দক্ষ ছিল।ধান,চাল,বেগুন,পটল,শুকনা মরিচ ও শুকনা মরিচগুলো চোখে চোখে রাখতে হতো।ঘর থেকে বের করে নিয়ে পালাতো মুহুর্ত্বের মধ্যে।গ্রামের মানুষ তার বাবা গাঠিয়া ডাক্তারকে বিচার দিয়ে দিয়ে যখন কুল কিনারা পাচ্ছিলো না তখন গ্রাম বাসি বুলবুলকে গ্রাম থেকে তাড়িয়ে দেয়।

ওই শিক্ষক আরো জানান,আমরাতো এখন অবাক!এতো অল্প সময়ে বুলবুল ও তার ছেলে কিভাবে শতকোটির টাকার মালিক হলো? এমন প্রশ্ন শুধু ওই শিক্ষকের নয় এলাকার অসংখ্য মানুষের।

অনুসন্ধ্যানে জানা গেছে,১৯৮৮ সালের শেষের দিকে চুরির দায়ে গ্রাম থেকে বিতারিত হওয়ার পর বালিয়াডাঙ্গী বাজারে জঙ্গলবাড়ী গ্রামের নজির ঝালাইয়ের দোকানে কর্মচারী ছিলেন বুলবুল। নজির মৃত্যুর পর বালিয়াডাঙ্গীতে একটি ঝালাইয়ের দোকান দেন বুলবুল।দোকানের আড়ালে চলে বৈদ্যুতিক তামার তার,ট্রান্সফর্মার ও এঙ্গেল চুরি কাজ। দুর্ধর্ষ চোর হিসেবে এলাকায় তার নাম আতংক ছড়িয়ে পরে। এ নামাতংক ব্যবহার করে বালিয়াডাঙ্গী সেন্টারপাড়ার হাকিমউদ্দীনের বাড়ীর যায়গা নাম মাত্র টাকা দিয়ে দলীল করে দখল করে বাড়ী করেন।পরে মামলা হলে আদালত থেকে উচ্ছেদের আদেশ পান হাকিমউদ্দিন।কিন্তু তার প্রভাবের কারণে এখনো দখল উচ্ছেদ করতে পারেনি আইন প্রয়োগকারীরা।এলাকার দুর্ধর্ষ লোক হিসেবে যা খুশী তাই করতে চান বুলবুল। দোকানে অবৈধ বিদ্যুৎ ব্যবহারের দায়ে আদালত তাকে জেলে পাঠান। জেল থেকে এসে আবারও জোড়ে শোরে শুরু করে চুরি কাজ।তার উপর প্রশাসনিক নজরদারী বাড়ানোর কারণে ধীরে ধীরে চুরি কাজ ছেড়ে দেন।শুরু করেন লেদ ওয়ার্কসপের ব্যবসা।পাশাপাশি ছেলে বেলাল শুরু করে সমিতির কার্যক্রম।চলবে।