ঢাকা ০১:৩৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চট্টগ্রামে বিয়ের নামে ফাঁদ, একাধিক পুরুষকে নিঃস্ব করেছেন সুন্দরী টুম্পা

নিজস্ব প্রতিবেদক :-

চট্টগ্রামে বিয়ের অভিনয় করে ব্যবসায়ীর কাছ থেকে স্ট্যাম্প, চেক ও প্রায় নগদ ২০লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে তাহমিনা আক্তার টুম্পা নামে এক নারী। ঐ নারীর বিরুদ্ধে একাধিক বিয়ে ও কাবিন ব্যবসা, প্রতারনার অভিযোগ এনে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন রমিজ আহম্মদ (৫৮) নামের পঞ্চাশর্ধ এক ভুক্তভোগী। এছাড়া প্রতারক টুম্পার নামে চট্টগ্রাম আদালতে চেক প্রতারনা মামলা সহ বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে বলেও জানান ভুক্তভোগী।শনিবার ২০ এপ্রিল আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আসক ফাউন্ডেশন চট্টগ্রামের বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও মানবাধিকার কর্মী জান্নাতুল আরেফা চৌধুরী মিথিলা।সংবাদ সম্মেলনে তাহমিনা আক্তার টুম্পার বিরুদ্ধে লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ উল্লেখ্য করে বলা হয়- ২০০৪/৫ সালে টুম্পার প্রথম বিয়ে হয়েছিলো আলমগীর নামে এক ব্যক্তির সাথে। কিছুদিন যেতে না যেতেই কাবিনের টাকা আদায় করে আলমগীর থেকে সরে আসে টুম্পা। ২০০৮ সালে টুম্পার খালাতো ভাই আমির হোসেনকে বিয়ে করে টুম্পা- কিছুদিন পর তাকে তালাক দিয়ে কাবিনের টাকা আদায় করে সরে পড়ে। ২০১৩ সালে মেহেরাব হোসেন নামে এক দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ছাত্রকে প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে নিজেকে কুমারী পরিচয় দিয়ে ৩০ লক্ষ টাকা কাবিন দেখিয়ে সংসার শুরু করে টুম্পা। এরই মধ্যে মেহেরাব হোসেন থেকে ২৩ লক্ষ টাকা কাবিন আদায় করেছে টুম্পা। মেহেরাব হোসেনের ঘরে টুম্পার ৯ বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।তাহমিনা আক্তার টুম্পা শুধু একজন প্রতারক আর কাবিন ব্যবসায়ী নারীই নয়, সে একজন টাউটও বটে। বিগত- সালে টুম্পার কথিত সিনিয়র কোর্টের আশ্রয় প্রশ্রয়দাতা এডভোকেট মাসকুর রহমান মাসুকের (লাল বিল্ডিং) জুনিয়র উকিল পরিচয় দিয়ে অনেক সাধারণ লোকের কাছ থেকে মামলা করার নাম করে টাকা-পয়সা হাতিয়ে নিয়েছে। ফাহিমা আক্তার নামে এক ভুক্তভোগী টুম্পা ও তার কথিত সিনিয়র এডভোকেটের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ করিলে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে আইনজীবী সমিতির শালিশে এডভোকেট মাসুক ও প্রতারক টুম্পা ভুক্তভোগীর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে এবং মামলা করার নামে যে টাকা নিয়েছিলো সে টাকা ফেরৎ দিতে বাধ্য হয়। আইনজীবী সমিতির কাছে টুম্পা আইনজীবী পরিচয় দেয়ায় তাকে “টাউট” হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। পরবর্তীতে তাহমিনা আক্তার টুম্পা আর কখনো আদালত প্রাঙ্গনে আসবেনা বলে অঙ্গিকার করে।প্রতারক তাহমিনা আক্তার টুম্পার বিরুদ্ধে বর্তমানে চট্টগ্রাম আদালতে অপর ৪৫৬/২৩ সিআর-২৪৯৩/২৩(ধারা-৪০৬/৪২০/৪৯৫/৩৮৬/৫০৬/৩৪ দঃ বিঃ), সিআর- ১৬৬/২০ ধারা- ১৩৮ NI ACT) চলমান রয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে তাহমিনা আক্তার টুম্পার বিরুদ্ধে একাধিক ভুক্তভোগী মামলা করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তাহমিনা আক্তার টুম্পার বর্তমান চট্টগ্রামের ১৫৮৮ হামজার বাগ, কুয়ার পাড়, হামজার বাগ কলোনীতে বসবাস করছে।প্রতারণার স্বীকার হওয়া রমিজ আহম্মদ (৫৮) এর দাবী প্রতারক তাহমিনা আক্তার টুম্পাসহ তার সহযোগীদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তি প্রদান করা হোক।উক্ত সংবাদ সম্মেলনে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এ বি এম গিয়াস উদ্দিন, মোঃ সাঈদ রেজা, মোঃ মানিক, এয়ার মোহাম্মদসহ আরো অনেকে।

ট্যাগস :

মাধবদী প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের সাথে মাধবদী পৌরসভার সাবেক মেয়র মোঃ ইলিয়াছের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

চট্টগ্রামে বিয়ের নামে ফাঁদ, একাধিক পুরুষকে নিঃস্ব করেছেন সুন্দরী টুম্পা

আপডেট : ০৬:৪৪:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক :-

চট্টগ্রামে বিয়ের অভিনয় করে ব্যবসায়ীর কাছ থেকে স্ট্যাম্প, চেক ও প্রায় নগদ ২০লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে তাহমিনা আক্তার টুম্পা নামে এক নারী। ঐ নারীর বিরুদ্ধে একাধিক বিয়ে ও কাবিন ব্যবসা, প্রতারনার অভিযোগ এনে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন রমিজ আহম্মদ (৫৮) নামের পঞ্চাশর্ধ এক ভুক্তভোগী। এছাড়া প্রতারক টুম্পার নামে চট্টগ্রাম আদালতে চেক প্রতারনা মামলা সহ বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে বলেও জানান ভুক্তভোগী।শনিবার ২০ এপ্রিল আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আসক ফাউন্ডেশন চট্টগ্রামের বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও মানবাধিকার কর্মী জান্নাতুল আরেফা চৌধুরী মিথিলা।সংবাদ সম্মেলনে তাহমিনা আক্তার টুম্পার বিরুদ্ধে লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ উল্লেখ্য করে বলা হয়- ২০০৪/৫ সালে টুম্পার প্রথম বিয়ে হয়েছিলো আলমগীর নামে এক ব্যক্তির সাথে। কিছুদিন যেতে না যেতেই কাবিনের টাকা আদায় করে আলমগীর থেকে সরে আসে টুম্পা। ২০০৮ সালে টুম্পার খালাতো ভাই আমির হোসেনকে বিয়ে করে টুম্পা- কিছুদিন পর তাকে তালাক দিয়ে কাবিনের টাকা আদায় করে সরে পড়ে। ২০১৩ সালে মেহেরাব হোসেন নামে এক দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ছাত্রকে প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে নিজেকে কুমারী পরিচয় দিয়ে ৩০ লক্ষ টাকা কাবিন দেখিয়ে সংসার শুরু করে টুম্পা। এরই মধ্যে মেহেরাব হোসেন থেকে ২৩ লক্ষ টাকা কাবিন আদায় করেছে টুম্পা। মেহেরাব হোসেনের ঘরে টুম্পার ৯ বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।তাহমিনা আক্তার টুম্পা শুধু একজন প্রতারক আর কাবিন ব্যবসায়ী নারীই নয়, সে একজন টাউটও বটে। বিগত- সালে টুম্পার কথিত সিনিয়র কোর্টের আশ্রয় প্রশ্রয়দাতা এডভোকেট মাসকুর রহমান মাসুকের (লাল বিল্ডিং) জুনিয়র উকিল পরিচয় দিয়ে অনেক সাধারণ লোকের কাছ থেকে মামলা করার নাম করে টাকা-পয়সা হাতিয়ে নিয়েছে। ফাহিমা আক্তার নামে এক ভুক্তভোগী টুম্পা ও তার কথিত সিনিয়র এডভোকেটের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ করিলে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে আইনজীবী সমিতির শালিশে এডভোকেট মাসুক ও প্রতারক টুম্পা ভুক্তভোগীর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে এবং মামলা করার নামে যে টাকা নিয়েছিলো সে টাকা ফেরৎ দিতে বাধ্য হয়। আইনজীবী সমিতির কাছে টুম্পা আইনজীবী পরিচয় দেয়ায় তাকে “টাউট” হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। পরবর্তীতে তাহমিনা আক্তার টুম্পা আর কখনো আদালত প্রাঙ্গনে আসবেনা বলে অঙ্গিকার করে।প্রতারক তাহমিনা আক্তার টুম্পার বিরুদ্ধে বর্তমানে চট্টগ্রাম আদালতে অপর ৪৫৬/২৩ সিআর-২৪৯৩/২৩(ধারা-৪০৬/৪২০/৪৯৫/৩৮৬/৫০৬/৩৪ দঃ বিঃ), সিআর- ১৬৬/২০ ধারা- ১৩৮ NI ACT) চলমান রয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে তাহমিনা আক্তার টুম্পার বিরুদ্ধে একাধিক ভুক্তভোগী মামলা করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তাহমিনা আক্তার টুম্পার বর্তমান চট্টগ্রামের ১৫৮৮ হামজার বাগ, কুয়ার পাড়, হামজার বাগ কলোনীতে বসবাস করছে।প্রতারণার স্বীকার হওয়া রমিজ আহম্মদ (৫৮) এর দাবী প্রতারক তাহমিনা আক্তার টুম্পাসহ তার সহযোগীদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তি প্রদান করা হোক।উক্ত সংবাদ সম্মেলনে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এ বি এম গিয়াস উদ্দিন, মোঃ সাঈদ রেজা, মোঃ মানিক, এয়ার মোহাম্মদসহ আরো অনেকে।