ঢাকা ০২:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মৃত এক যুবকের লাশ উদ্ধার

হাজী জাহিদ,পলাশ নরসিংদী :

নরসিংদীতে পুকুরের পানি থেকে ইউসুফ নামে এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করেছে পুলিশ। নিহত ইউসুফ মিয়ার বাড়ি রায়পুরা থানার আমিরগঞ্জ ইউনিয়নের করিমগঞ্জ বলে জানা যায়।

নিহতের স্বজন ও স্থানিয় সুত্র জানায়, গত ৮ জানুয়ারী বুধবার সকাল ৮ টারদিকে ইউসুফ মিয়ার পরিচিত একজন তার মুটো ফোনে ফোন দেয় এবং বাদুয়াচর আসতে বলে।

বাদুয়াচর আসলে এক পর্যায়ে তার বন্ধুদের সাথে কথা কাটাকাটির সূত্র ধরে, ইউসুফের উপর দুর্বৃত্তরা অতর্কিত হামলা চালায়। তাদের হামলা থেকে বাঁচতে দৌড়ে বাঁদুয়ারচর রেলওয়ে ব্রিজের স্বনিকটে পানিতে ঝাঁপ দেয়। দুর্বৃত্তরা পানির মধ্যেও বাঁশ দিয়ে তাকে পিটাতে থাকে, এক পর্যায়ে ইউসুফ পানির তলদেশে ডুব দিলে আর উপরে উঠে আসেনি।

ইউসুফ পানির নিচে তলিয়ে গেলে দুর্বৃত্তরা দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় বলে যানা যায়। নদীতে মাছ ধরতে আসা কিছু পরোক্ষ সাক্ষীরা জানান কিছু ছেলেরা এসবকে লাঠি সোটা নিয়ে তাড়া করে এবং তাকে মারতে থাকে, ইউসুফ প্রাণ বাঁচাতে পানিতে ঝাঁপ দিলে আর উঠে আসতে পারিনি। ইউসুফ তার মামা ইমাম মিয়ার বাড়িতে তার মার সাথে থাকতেন বলেও জানান নিয়তের স্বজনেরা।

ইউসুফ সকালবেলা বাড়ি থেকে বের হয়ে দুপুর পর্যন্ত বাড়িতে না ফিরায় পরিবারের লোকজন তাকে খুঁজতে থাকে, প্রত্যক্ষদর্শীরা স্বজনদের জানায় কিছু লোক ইউসুফকে লাঠি সোটা দিয়ে পিটাতে পিটাতে পানিতে ঝাঁপ দিতে বাধ্য করে এবং সেখান থেকে সে আর উপরে উঠে আসেনি।
এরকম সংবাদের পর স্বজনেরা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয় ফায়ার সার্ভিসের ডুবোরি দল ৮ই জানুয়ারি সন্ধ্যা পর্যন্ত খোঁজাখুঁজির পর নিহতের লাশ না পেয়ে ৯ জানুয়ারি আবার,ঘন্টা দুয়েক পর বাদুড়চড়ে ব্রিজ থেকে ২০০ মিটার দূরত্বে ইউসুফের লাশ খুঁজে পান। লাশ উদ্ধারের পর পর এলাকায় চাঞ্চলের সৃষ্টি হয়। কে বলছে মোবাইল চুরির অপবাদ দিয়ে তাকে ধাওয়া করে আবার কেউ বলছে মেয়েলি সংক্রান্ত বিষয়ে বিরোধে তাকে মেরে ফেলা হয়েছে তবে তার পরিবারের লোকজনসহ কেউ কি কারনে এ ঘটনা ঘটতে পারে সেটি জানাতে পারেননি।

এরপর দুপুরে ঘটনাস্থলে প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট অন্তে ময়না তদন্তের জন্য ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করেন পুলিশ।

মৃতদেহ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে নরসিংদী থানার অফিসার ইনচার্জ তানবীর আহমেদ প্রতিবেদক কে জানান, ঘটনার খবর পাওয়া মাত্র দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে মৃতদেহটি উদ্ধার পূর্বক ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে দুই থানার মাঝামাঝি হওয়ায় সকল কাজ নৌপুলিশ সম্পন্ন করেছে পাশাপাশি মৃত্যু রহস্য উদঘার্টনে পুলিশ তৎপর রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এঘটনায় আইনানুগ পক্রিয়া চলমান রয়েছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয়

পরীমণির সঙ্গে দ্বন্দ্বের মিটমাট নারী সাংবাদিকের

মৃত এক যুবকের লাশ উদ্ধার

আপডেট : ০৮:২৯:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৪

হাজী জাহিদ,পলাশ নরসিংদী :

নরসিংদীতে পুকুরের পানি থেকে ইউসুফ নামে এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করেছে পুলিশ। নিহত ইউসুফ মিয়ার বাড়ি রায়পুরা থানার আমিরগঞ্জ ইউনিয়নের করিমগঞ্জ বলে জানা যায়।

নিহতের স্বজন ও স্থানিয় সুত্র জানায়, গত ৮ জানুয়ারী বুধবার সকাল ৮ টারদিকে ইউসুফ মিয়ার পরিচিত একজন তার মুটো ফোনে ফোন দেয় এবং বাদুয়াচর আসতে বলে।

বাদুয়াচর আসলে এক পর্যায়ে তার বন্ধুদের সাথে কথা কাটাকাটির সূত্র ধরে, ইউসুফের উপর দুর্বৃত্তরা অতর্কিত হামলা চালায়। তাদের হামলা থেকে বাঁচতে দৌড়ে বাঁদুয়ারচর রেলওয়ে ব্রিজের স্বনিকটে পানিতে ঝাঁপ দেয়। দুর্বৃত্তরা পানির মধ্যেও বাঁশ দিয়ে তাকে পিটাতে থাকে, এক পর্যায়ে ইউসুফ পানির তলদেশে ডুব দিলে আর উপরে উঠে আসেনি।

ইউসুফ পানির নিচে তলিয়ে গেলে দুর্বৃত্তরা দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় বলে যানা যায়। নদীতে মাছ ধরতে আসা কিছু পরোক্ষ সাক্ষীরা জানান কিছু ছেলেরা এসবকে লাঠি সোটা নিয়ে তাড়া করে এবং তাকে মারতে থাকে, ইউসুফ প্রাণ বাঁচাতে পানিতে ঝাঁপ দিলে আর উঠে আসতে পারিনি। ইউসুফ তার মামা ইমাম মিয়ার বাড়িতে তার মার সাথে থাকতেন বলেও জানান নিয়তের স্বজনেরা।

ইউসুফ সকালবেলা বাড়ি থেকে বের হয়ে দুপুর পর্যন্ত বাড়িতে না ফিরায় পরিবারের লোকজন তাকে খুঁজতে থাকে, প্রত্যক্ষদর্শীরা স্বজনদের জানায় কিছু লোক ইউসুফকে লাঠি সোটা দিয়ে পিটাতে পিটাতে পানিতে ঝাঁপ দিতে বাধ্য করে এবং সেখান থেকে সে আর উপরে উঠে আসেনি।
এরকম সংবাদের পর স্বজনেরা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয় ফায়ার সার্ভিসের ডুবোরি দল ৮ই জানুয়ারি সন্ধ্যা পর্যন্ত খোঁজাখুঁজির পর নিহতের লাশ না পেয়ে ৯ জানুয়ারি আবার,ঘন্টা দুয়েক পর বাদুড়চড়ে ব্রিজ থেকে ২০০ মিটার দূরত্বে ইউসুফের লাশ খুঁজে পান। লাশ উদ্ধারের পর পর এলাকায় চাঞ্চলের সৃষ্টি হয়। কে বলছে মোবাইল চুরির অপবাদ দিয়ে তাকে ধাওয়া করে আবার কেউ বলছে মেয়েলি সংক্রান্ত বিষয়ে বিরোধে তাকে মেরে ফেলা হয়েছে তবে তার পরিবারের লোকজনসহ কেউ কি কারনে এ ঘটনা ঘটতে পারে সেটি জানাতে পারেননি।

এরপর দুপুরে ঘটনাস্থলে প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট অন্তে ময়না তদন্তের জন্য ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করেন পুলিশ।

মৃতদেহ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে নরসিংদী থানার অফিসার ইনচার্জ তানবীর আহমেদ প্রতিবেদক কে জানান, ঘটনার খবর পাওয়া মাত্র দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে মৃতদেহটি উদ্ধার পূর্বক ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে দুই থানার মাঝামাঝি হওয়ায় সকল কাজ নৌপুলিশ সম্পন্ন করেছে পাশাপাশি মৃত্যু রহস্য উদঘার্টনে পুলিশ তৎপর রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এঘটনায় আইনানুগ পক্রিয়া চলমান রয়েছে।