মাহমুদ আহসান হাবিব ঠাকুরগাঁও :
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি এলএসডি) মোছাঃ কাজল রেখার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে । তিনি রুহিয়ায় যোগদানের পর থেকে দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছেন বলে অভিযোগ করছেন বেশ কয়েকজন হাস্কিং মিল মালিক।
তার অনিয়মের বিষয়ে ঠাকুরগাঁও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের বরাবর বুধবার একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন রুহিয়া এলাকার বেশ কয়েকজন মিল মালিক এবং কৃষক।
মিলারদের অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ওসি এলএসডি কাজল রেখা রুহিয়া খাদ্য গুদামে আসার পর থেকে দূর্নীতি সূলভ আচরণ করে আসছে, মিল মালিক এবং কৃষকগণ গুদামে ধান সরবরাহ করতে গেলে কেজি প্রতি ১.৫ টাকা থেকে ২ টাকা উৎকোচ দাবি করেন ওসি এলএসডি। যারা টাকা প্রদান করেন তাদের ধান গুডামে খামাল করা হয়, টাকা না দিলে টালবাহানা শুরু করেন। এছাড়াও যারা বস্তা প্রতি ৭০-৮০ টাকা উৎকোচ প্রদান করেন তাদের কাছ থেকে নন সর্টার চাল সংগ্রহ করেন তিনি। অভিযোগসূত্রে আরও জানা যায় কাজল রেখা রুহিয়া খাদ্য গুদামের ওসি এলএসডি হিসেবে যোগদানের পর থেকে ধরাকে সরা করে চলছেন তিনি। মিলের বরাদ্দ অনুযায়ী মিলাররা গুদামে চাল দিতে আসলে চাল খারাপ বলে বিভিন্নভাবে মিলারদের হয়রানি করা হয়। মিলাররা তার বিরুদ্ধে কিছু বলারও সাহস পান না। কিন্তু বিনিময়ে মাসোয়ারা দিলেই সব সমস্যা সমাধান হয়ে যায়।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক ঠিকাদার ও চাল কল মালিক বলেন, ওসি এলএসডি কাজল রেখা যোগদানের পর থেকেই ব্যাপক অনিয়ম করে চলছেন। তিনি প্রভাব খাটিয়ে এ অনিয়ম করছেন। তিনি আরও বলেন অভিযোগে যে গুদামের চাউলের খামাল এর নন সর্টার চাল ছিল অভিযোগের পরের দিনে সেই গুদামের চাল সরিয়ে দিয়েছে।
রুহিয়া খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজল রেখা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন আমার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ পুরো মিথ্যা, আসলে তিন জন মিলার গুদামে ধান সরবরাহ করতে আসলে মাঝের কিছু ধানের সমস্যা দেখতে পাই এবং সেই ধান আমি সরবরাহে অস্বীকার করি।তিনি বলেন আমি একজন সরকারি দায়িত্বে আছি আমি কেন সরকারি নিয়মের বাইরে খারাপ ধান সরবরাহ করব।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মাহমুদুল হাছান এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, এ বিষয় এখনো আমার হাতে অফিসিয়ালী কোন অভিযোগ আসেনি, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হবে।