ঢাকা ১১:১৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দেবীগঞ্জে যৌতুকের বলি শাহনাজ হত্যার ৫দিন পর আদালতে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার যৌতুকের বলি শাহনাজ বেগমকে হত্যার অভিযোগে তার স্বামী আব্দুল মজিদসহ আটজনকে আসামি করে আদালতে মামলা দায়ের করেছে ভিকটিমের  খোরশেদ আলম। সোমবার (১৫ এপ্রিল) শাহনাজ বেগমের নানা খোরশেদ আলম বাদী হয়ে দেবীগঞ্জ আমলী আদালত-২, মামলাটি দায়ের করেন। বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে ২২ এপ্রিল আদেশের জন্য দিন নির্ধারন করে।

বাদী দেবীগঞ্জের টোকরাভাষা কইপাড়া এলাকার মসলিম উদ্দিনের ছেলে ও ভিকটিম শাহনাজ বেগম নানা।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ভিকটিম শাহনাজ বেগম বাদীর মেয়ের ঘরের নাতিনী।মেয়ে জামাই শাহ আলম মারা যাওয়ার পর নাতিনী শাহনাজ বেগমকে লালন পালন করে।

শাহনাজ তার স্বামী সংসার করা কালীন সময়ে যৌতুকের জন্য প্রায় সময় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে। শত নির্যাতন সহ্য করে স্বামীর সংসার করাকালীন সময় ২টি সন্তানের মা হয় শাহনাজ। আব্দুল মজিদ অন্য আসামীদের প্ররোচনায় একলাখ টাকা যৌতুক দাবী করে ভিকটিমকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে বাড়ী থেকে বের করে দেয়। পরে ভিকটিম শাহনাজ গত বছরের ৩ অক্টোবর বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করে, মামলাটি বিচারাধীন। ১নং আসামী ভিকটিম শাহনাজকে নিয়ে সংসার করার কথায় আপোষ করে আদালত থেকে জামিন লাভ করে। শাহনাজকে হত্যা করার পরিকল্পনা করতে থাকে গত ৮ এপ্রিল ১নং আসামী আঃ মজিদ তার স্ত্রী সন্তান সহ বাদীর বাড়ীতে আসে এবং পরের দিন ঈদের জন্য আব্দুল মজিদ তার স্ত্রী ও বাচ্চাদেরকে নিজ বাড়ীতে নিয়ে যায়। আসামী আব্দুল মজিদ অন্য আসামীদের সাথে যোগাযোগ করে হত্যার পরিকল্পনা করে এবং ঈদের দিন ১১ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টা থেকে সাড়ে ৯ টার মধ্যে সু-পরিকল্পিত ভাবে আঃ মজিদের শয়ন ঘরে ভিকটিম শাহনাজকে ধারালো ছোরা দিয়ে জবাই করে, ভিকটিমের বাম হাতে,উরুতে, বুকে, পিঠে, পেটে ছুরিকাঘাত করে এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে।

মামলার বাদী খোরশেদ আলম বলেন, মোবাইল ফোনে খবর শুনে গিয়ে দেখি শাহনাজকে জবাই করে হত্যা করেছে।এসময় আমি অজ্ঞান হয়ে যাই। পুলিশ লাশ থানায় নিয়ে যায় পরে আমরা মামলা করতে থানায় যাই কিন্তু থানার পুলিশ আমাদের সাথে খারাপ আচরন করে। মামলা নেয়নি। তাই আদালতে মামলা করছি।আশাকরি ন্যায় বিচার পাবো।

বাদীর আইনজীবি মো.নজরুল ইসলাম জানান,মামলাটি বিজ্ঞ আদালতে দাখিল করেছি।বিচারক আমলে নিয়ে ২২ এপ্রিল আদেশের জন্য দিন নির্ধারন করেছেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয়

পরীমণির সঙ্গে দ্বন্দ্বের মিটমাট নারী সাংবাদিকের

দেবীগঞ্জে যৌতুকের বলি শাহনাজ হত্যার ৫দিন পর আদালতে মামলা

আপডেট : ১০:৫৫:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার যৌতুকের বলি শাহনাজ বেগমকে হত্যার অভিযোগে তার স্বামী আব্দুল মজিদসহ আটজনকে আসামি করে আদালতে মামলা দায়ের করেছে ভিকটিমের  খোরশেদ আলম। সোমবার (১৫ এপ্রিল) শাহনাজ বেগমের নানা খোরশেদ আলম বাদী হয়ে দেবীগঞ্জ আমলী আদালত-২, মামলাটি দায়ের করেন। বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে ২২ এপ্রিল আদেশের জন্য দিন নির্ধারন করে।

বাদী দেবীগঞ্জের টোকরাভাষা কইপাড়া এলাকার মসলিম উদ্দিনের ছেলে ও ভিকটিম শাহনাজ বেগম নানা।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ভিকটিম শাহনাজ বেগম বাদীর মেয়ের ঘরের নাতিনী।মেয়ে জামাই শাহ আলম মারা যাওয়ার পর নাতিনী শাহনাজ বেগমকে লালন পালন করে।

শাহনাজ তার স্বামী সংসার করা কালীন সময়ে যৌতুকের জন্য প্রায় সময় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে। শত নির্যাতন সহ্য করে স্বামীর সংসার করাকালীন সময় ২টি সন্তানের মা হয় শাহনাজ। আব্দুল মজিদ অন্য আসামীদের প্ররোচনায় একলাখ টাকা যৌতুক দাবী করে ভিকটিমকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে বাড়ী থেকে বের করে দেয়। পরে ভিকটিম শাহনাজ গত বছরের ৩ অক্টোবর বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করে, মামলাটি বিচারাধীন। ১নং আসামী ভিকটিম শাহনাজকে নিয়ে সংসার করার কথায় আপোষ করে আদালত থেকে জামিন লাভ করে। শাহনাজকে হত্যা করার পরিকল্পনা করতে থাকে গত ৮ এপ্রিল ১নং আসামী আঃ মজিদ তার স্ত্রী সন্তান সহ বাদীর বাড়ীতে আসে এবং পরের দিন ঈদের জন্য আব্দুল মজিদ তার স্ত্রী ও বাচ্চাদেরকে নিজ বাড়ীতে নিয়ে যায়। আসামী আব্দুল মজিদ অন্য আসামীদের সাথে যোগাযোগ করে হত্যার পরিকল্পনা করে এবং ঈদের দিন ১১ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টা থেকে সাড়ে ৯ টার মধ্যে সু-পরিকল্পিত ভাবে আঃ মজিদের শয়ন ঘরে ভিকটিম শাহনাজকে ধারালো ছোরা দিয়ে জবাই করে, ভিকটিমের বাম হাতে,উরুতে, বুকে, পিঠে, পেটে ছুরিকাঘাত করে এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে।

মামলার বাদী খোরশেদ আলম বলেন, মোবাইল ফোনে খবর শুনে গিয়ে দেখি শাহনাজকে জবাই করে হত্যা করেছে।এসময় আমি অজ্ঞান হয়ে যাই। পুলিশ লাশ থানায় নিয়ে যায় পরে আমরা মামলা করতে থানায় যাই কিন্তু থানার পুলিশ আমাদের সাথে খারাপ আচরন করে। মামলা নেয়নি। তাই আদালতে মামলা করছি।আশাকরি ন্যায় বিচার পাবো।

বাদীর আইনজীবি মো.নজরুল ইসলাম জানান,মামলাটি বিজ্ঞ আদালতে দাখিল করেছি।বিচারক আমলে নিয়ে ২২ এপ্রিল আদেশের জন্য দিন নির্ধারন করেছেন।