ঢাকা ০২:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাধবদীর আমদিয়া ইউপি সদস্যকে প্রকাশ্যে গুলি ও জবাই করে হত্যা

মুহাম্মদ মুছা মিয়া, মাধবদী (নরসিংদী) প্রতিনিধি:

নরসিংদীর মাধবদী আমদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য ও ভূইয়ম গ্রামের শাহজাহানের ছেলে মোঃ রুবেল মিয়াকে দিনদুপুরে প্রকাশ্যে গুলি করে ও পরে জবাই করে হত্যা নিশ্চিত করেছে দুর্বৃত্তরা। আজ সোমবার (১৫ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২ টা সময় পাঁচদোনা-ডাঙ্গা রোডের আমদিয়া ইউনিয়নের পাকুরিয়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মোঃ রুবেল একজন আরোহিসহ মোটরসাইকেল দিয়ে পাকুরিয়া বাজার দিয়ে যাচ্ছিলেন। তখন কয়েকজন মুখোসদারি সন্ত্রাসী তার মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে তাকে গুলি করে। গুলি করার পর সে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তাকে জবাই করে মৃত্যু নিশ্চিত করে সন্ত্রাসীরা গাড়িতে করে পালিয়ে যায়।

হত্যাকান্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন নরসিংদীর পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(ক্রাইম অ্যান্ড অপস) অনির্বান চৌধুরী, নরসিংদী সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কে এম শহিদুল ইসলাম সোহাগ, মাধবদী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ কামরুজ্জামানসহ ডিবি,ডিএসবি এর উর্ধতন কর্মকর্তাগণ।

আমদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ ইবনে রহিস মিঠু জানান, ঘটনার সংবাদ পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে ছুটে এসেছি। এসে জানতে পারি রুবেলকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে অতর্কিত হামলা করা হয়। প্রথমে রুবেলকে গুলি করলে সে পরে যায়। পরে তাকে জবাই করে মৃত্যু নিশ্চিত করে হত্যাকারীরা। কে বা কারা জড়িত বলতে পারছিনা। তবে নির্বাচন কেন্দ্রীক পূর্ব শত্রæতা থাকতে পারে। আমি এ হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচার দাবি করছি। শুধু মেম্বারই না এমন মৃত্যু যেন কোন সাধারন নাগরিকের না হয়। তিনি আরো বলেন রুবেলের সাথে একজন ছেলে ছিল সে হয়তো কারা তাকে হত্যা করেছে চিনতে পারবে হয়তো।

নিহত মেম্বার রুবেলের ছোট ভাই মোঃ ইমন বলেন আমার বড় ভাইয়ের সাথে যারা বিরোধি প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেছেন তাদের সাথে আমার ভাইয়ের শত্রæতা রয়েছে। সে আরো জানায় আমার ভাইকে হাত্যাকারীরা যখন হত্যা করে তখন ভাইয়ের সাথে ইসমাইল ছিল। তিনিকে ডিবি নিয়ে গেছে।
এবিষয়ে ডিবির একজন অফিসারের সাথে কথা বললে তিনি জানান হত্যাকান্ডের সময় মেম্বার রুবেলের সাথে তার মোটরসাইকেলে ইসমাইল নামে একজন ছিল। তাই ঘটনা জানতে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য ইসমাইলকে হেফাজতে নিয়েছি।

এ ব্যাপারে মাধবদী থানার অফিসার্স ইনচার্জ কামরুজ্জামানের সাথে মোঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। হত্যাকান্ডের কোন কারণ এখনো জানা যায়নি তবে আমরা ঘটনার তদন্ত করে কারা হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত এবং কেন হত্যা করেছে পরে তা বিস্তারিত জানাতে পারব। তবে বিভিন্ন ঘটনায় রুবেলের নামে একাধিক মামলা রয়েছে বলেও তিনি জানান।

ট্যাগস :
জনপ্রিয়

পরীমণির সঙ্গে দ্বন্দ্বের মিটমাট নারী সাংবাদিকের

মাধবদীর আমদিয়া ইউপি সদস্যকে প্রকাশ্যে গুলি ও জবাই করে হত্যা

আপডেট : ০৮:৩৩:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৪

মুহাম্মদ মুছা মিয়া, মাধবদী (নরসিংদী) প্রতিনিধি:

নরসিংদীর মাধবদী আমদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য ও ভূইয়ম গ্রামের শাহজাহানের ছেলে মোঃ রুবেল মিয়াকে দিনদুপুরে প্রকাশ্যে গুলি করে ও পরে জবাই করে হত্যা নিশ্চিত করেছে দুর্বৃত্তরা। আজ সোমবার (১৫ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২ টা সময় পাঁচদোনা-ডাঙ্গা রোডের আমদিয়া ইউনিয়নের পাকুরিয়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মোঃ রুবেল একজন আরোহিসহ মোটরসাইকেল দিয়ে পাকুরিয়া বাজার দিয়ে যাচ্ছিলেন। তখন কয়েকজন মুখোসদারি সন্ত্রাসী তার মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে তাকে গুলি করে। গুলি করার পর সে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তাকে জবাই করে মৃত্যু নিশ্চিত করে সন্ত্রাসীরা গাড়িতে করে পালিয়ে যায়।

হত্যাকান্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন নরসিংদীর পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(ক্রাইম অ্যান্ড অপস) অনির্বান চৌধুরী, নরসিংদী সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কে এম শহিদুল ইসলাম সোহাগ, মাধবদী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ কামরুজ্জামানসহ ডিবি,ডিএসবি এর উর্ধতন কর্মকর্তাগণ।

আমদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ ইবনে রহিস মিঠু জানান, ঘটনার সংবাদ পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে ছুটে এসেছি। এসে জানতে পারি রুবেলকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে অতর্কিত হামলা করা হয়। প্রথমে রুবেলকে গুলি করলে সে পরে যায়। পরে তাকে জবাই করে মৃত্যু নিশ্চিত করে হত্যাকারীরা। কে বা কারা জড়িত বলতে পারছিনা। তবে নির্বাচন কেন্দ্রীক পূর্ব শত্রæতা থাকতে পারে। আমি এ হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচার দাবি করছি। শুধু মেম্বারই না এমন মৃত্যু যেন কোন সাধারন নাগরিকের না হয়। তিনি আরো বলেন রুবেলের সাথে একজন ছেলে ছিল সে হয়তো কারা তাকে হত্যা করেছে চিনতে পারবে হয়তো।

নিহত মেম্বার রুবেলের ছোট ভাই মোঃ ইমন বলেন আমার বড় ভাইয়ের সাথে যারা বিরোধি প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেছেন তাদের সাথে আমার ভাইয়ের শত্রæতা রয়েছে। সে আরো জানায় আমার ভাইকে হাত্যাকারীরা যখন হত্যা করে তখন ভাইয়ের সাথে ইসমাইল ছিল। তিনিকে ডিবি নিয়ে গেছে।
এবিষয়ে ডিবির একজন অফিসারের সাথে কথা বললে তিনি জানান হত্যাকান্ডের সময় মেম্বার রুবেলের সাথে তার মোটরসাইকেলে ইসমাইল নামে একজন ছিল। তাই ঘটনা জানতে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য ইসমাইলকে হেফাজতে নিয়েছি।

এ ব্যাপারে মাধবদী থানার অফিসার্স ইনচার্জ কামরুজ্জামানের সাথে মোঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। হত্যাকান্ডের কোন কারণ এখনো জানা যায়নি তবে আমরা ঘটনার তদন্ত করে কারা হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত এবং কেন হত্যা করেছে পরে তা বিস্তারিত জানাতে পারব। তবে বিভিন্ন ঘটনায় রুবেলের নামে একাধিক মামলা রয়েছে বলেও তিনি জানান।