ঢাকা ০৯:২৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝালকাঠিতে ঘন কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ায় বিপর্যস্ত জনজীবন

আমির হোসেন, ঝালকাঠি জেলা প্রতিনিধি

ঝালকাঠিতে গত ক’দিনের শৈতপ্রবাহ, ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পরেছে জনজীবন।
হিমেল হাওয়ার কারনে ঝালকাঠিবাসী বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ঘন কুয়াশার কারণে যানবাহন গুলো দিনের বেলাও হেডলাইট জ্বালিয়ে সড়কে চলাচল করছে থমকে থমকে।গ্রামের পিছিয়ে পড়া ছিন্নমুল ও নিম্ন আয়ের মানুষজন একটি গড়ম কাপড়ের আসায় তাকিয়ে আছেন বিভিন্ন এনজিও ও সরকারি কর্মকর্তাদের দিকে।শীত ও ঠাণ্ডার কারনে তারা পাড়ছে না কাজে যেতে। আয় রোজগার করতে না পাড়ায় পরিবারগুলো সন্তান সন্ততি নিয়ে পড়েছে মহাবিপদে। এমন বৈরি আবহাওয়া বাড়তে থাকলে সমস্যা বাড়বে নিম্ন আয়ের মানুষের।

খড়কুটো আগুন জ্বালিয়ে শৈতপ্রবাহের ঠাণ্ডা নিবারন করছেন কেউ কেউ। ঠাণ্ডায় শর্দি ও কাশি জনিত রোগে শিশু ও বৃদ্ধের মেডিকেলে ভর্তির সংখ্যা বেশী। স্বরজমিনে দেখাযায় নলছিটি উপজেলার কুশাংগল ইউনিয়নের মোঃ আইউব আলী দিনমুজুর। তিনি আগুন জ্বালিয় শীত নিবারনের চেষ্টা করছেন।কথা হলে তারা বলেন মোরা গরীব মানু, অন্যের বাড়িত কামলা দিয়া বউ পোলাপান বাচাই। এখন যে ঠাণ্ডা চলছে,মোডা কাপড়ও নাই,এদিকে ঠাণ্ডার কারনে কাজেও যেতে পাড়ছি না,পরিবারে ছেলে-মেয়ে নিয়া খামোকি দিশা পাইনা। ঠাণ্ডা আরো বেশীদিন যদি থাকে মোর মরন”।এদিকে জেলা হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেলেক্স গুলতে বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রুগীর সংখ্যা।

ঝাললকাঠিতে রোববার সকালের তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৩.০০ ডিগ্রী সেলসিয়াস। আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে এমন আবহাওয়া আরো ২ থেকে ৩ দিন বাড়তে পারে, ৯৪% আদ্রতার কারনে মধ্যরাত হতে সাড়াদিন পর্যন্ত ঘন কুয়াশা পড়তে পারে বলে নিশ্চিত করেন।

এদিকে নদীপথে ঘন কুয়াশার কারণে জেলার সুগন্ধা, ধানসিঁড়ি, বিষখালীসহ অধিকাংশ নদীগুলোতে নৌযানগুলী দিন-রাত নঙ্গর করে রাখা হয়েছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয়

মাধবদীতে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে গ্রেফতার রাকিবুলের শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

ঝালকাঠিতে ঘন কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ায় বিপর্যস্ত জনজীবন

আপডেট : ০৫:২৮:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৪

আমির হোসেন, ঝালকাঠি জেলা প্রতিনিধি

ঝালকাঠিতে গত ক’দিনের শৈতপ্রবাহ, ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পরেছে জনজীবন।
হিমেল হাওয়ার কারনে ঝালকাঠিবাসী বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ঘন কুয়াশার কারণে যানবাহন গুলো দিনের বেলাও হেডলাইট জ্বালিয়ে সড়কে চলাচল করছে থমকে থমকে।গ্রামের পিছিয়ে পড়া ছিন্নমুল ও নিম্ন আয়ের মানুষজন একটি গড়ম কাপড়ের আসায় তাকিয়ে আছেন বিভিন্ন এনজিও ও সরকারি কর্মকর্তাদের দিকে।শীত ও ঠাণ্ডার কারনে তারা পাড়ছে না কাজে যেতে। আয় রোজগার করতে না পাড়ায় পরিবারগুলো সন্তান সন্ততি নিয়ে পড়েছে মহাবিপদে। এমন বৈরি আবহাওয়া বাড়তে থাকলে সমস্যা বাড়বে নিম্ন আয়ের মানুষের।

খড়কুটো আগুন জ্বালিয়ে শৈতপ্রবাহের ঠাণ্ডা নিবারন করছেন কেউ কেউ। ঠাণ্ডায় শর্দি ও কাশি জনিত রোগে শিশু ও বৃদ্ধের মেডিকেলে ভর্তির সংখ্যা বেশী। স্বরজমিনে দেখাযায় নলছিটি উপজেলার কুশাংগল ইউনিয়নের মোঃ আইউব আলী দিনমুজুর। তিনি আগুন জ্বালিয় শীত নিবারনের চেষ্টা করছেন।কথা হলে তারা বলেন মোরা গরীব মানু, অন্যের বাড়িত কামলা দিয়া বউ পোলাপান বাচাই। এখন যে ঠাণ্ডা চলছে,মোডা কাপড়ও নাই,এদিকে ঠাণ্ডার কারনে কাজেও যেতে পাড়ছি না,পরিবারে ছেলে-মেয়ে নিয়া খামোকি দিশা পাইনা। ঠাণ্ডা আরো বেশীদিন যদি থাকে মোর মরন”।এদিকে জেলা হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেলেক্স গুলতে বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রুগীর সংখ্যা।

ঝাললকাঠিতে রোববার সকালের তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৩.০০ ডিগ্রী সেলসিয়াস। আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে এমন আবহাওয়া আরো ২ থেকে ৩ দিন বাড়তে পারে, ৯৪% আদ্রতার কারনে মধ্যরাত হতে সাড়াদিন পর্যন্ত ঘন কুয়াশা পড়তে পারে বলে নিশ্চিত করেন।

এদিকে নদীপথে ঘন কুয়াশার কারণে জেলার সুগন্ধা, ধানসিঁড়ি, বিষখালীসহ অধিকাংশ নদীগুলোতে নৌযানগুলী দিন-রাত নঙ্গর করে রাখা হয়েছে।