ঢাকা ০২:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পলাশে ঘণ ঘন লোডশেডিং, ৪ হাজার মুরগীর মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক (পলাশ)নরসিংদী:-

নরসিংদীর পলাশ উপজেলার জিনারদী ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি পোল্টি খামারে প্রায় ৪ হাজার ব্রয়লার মুরগি মারা যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ভয়াবহ লোডশেডিং ও প্রচণ্ড গরমে মুরগিগুলো মারা গেছে বলে দাবি করেছেন খামার মালিকরা। মারা যাওয়া প্রতিটি মুরগির ওজন দেড় থেকে দুই কেজি ছিল বলে জানান তারা।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) বিকেলে ক্ষতিগ্রস্ত এসব খামারিরা নরসিংদী পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি ১ এর তালতলী সাব জোনাল অফিসের সামনে মরা মুরগী নিয়ে অবস্থান করেন। এসব খামারিরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। জোনাল অফিসের দায়িত্বরতরা এসব খামারিদের দেখে অফিসের মূল গেটে তালা মেড়ে ভিতরে বসে থাকে।

এলাকাবাসী জানান, প্রতিদিনই প্রচণ্ড গরম পড়েছে। পাশাপাশি ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের কবলে পড়ে পুরো এলাকা। পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষকে বিদ্যুতের জন্য বার বার ফোন দিয়েও কোনো সাড়া পাননি খামার মালিকরা।

‘মুরগিগুলো চোখের সামনে একে একে মারা যায়’ মন্তব্য করে খামার মালিক মোহসীন বলেন, আমার একাই প্রায় ৩ হাজার মুরগী মারা গেছে। এছাড়াও আমার স্বজন ও আশে পাশের খামারিদেরও মুরগী মারা গেছে। খুব কষ্টে মুরগিগুলো লালন-পালন করেছি। এত গরমের মধ্যে যদি এত লোডশেডিং হয় তাহলে কীভাবে চলে? বার বার পল্লীবিদ্যুৎ অফিসে ফোন দেওয়ার পর লোডশেডিং কমছে না। সরকারের কাছে আমরা ক্ষতিপূরণ চাই। তা না হলে আমাদের পথে বসতে হবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয়

পরীমণির সঙ্গে দ্বন্দ্বের মিটমাট নারী সাংবাদিকের

পলাশে ঘণ ঘন লোডশেডিং, ৪ হাজার মুরগীর মৃত্যু

আপডেট : ০৮:৪৬:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মে ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক (পলাশ)নরসিংদী:-

নরসিংদীর পলাশ উপজেলার জিনারদী ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি পোল্টি খামারে প্রায় ৪ হাজার ব্রয়লার মুরগি মারা যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ভয়াবহ লোডশেডিং ও প্রচণ্ড গরমে মুরগিগুলো মারা গেছে বলে দাবি করেছেন খামার মালিকরা। মারা যাওয়া প্রতিটি মুরগির ওজন দেড় থেকে দুই কেজি ছিল বলে জানান তারা।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) বিকেলে ক্ষতিগ্রস্ত এসব খামারিরা নরসিংদী পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি ১ এর তালতলী সাব জোনাল অফিসের সামনে মরা মুরগী নিয়ে অবস্থান করেন। এসব খামারিরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। জোনাল অফিসের দায়িত্বরতরা এসব খামারিদের দেখে অফিসের মূল গেটে তালা মেড়ে ভিতরে বসে থাকে।

এলাকাবাসী জানান, প্রতিদিনই প্রচণ্ড গরম পড়েছে। পাশাপাশি ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের কবলে পড়ে পুরো এলাকা। পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষকে বিদ্যুতের জন্য বার বার ফোন দিয়েও কোনো সাড়া পাননি খামার মালিকরা।

‘মুরগিগুলো চোখের সামনে একে একে মারা যায়’ মন্তব্য করে খামার মালিক মোহসীন বলেন, আমার একাই প্রায় ৩ হাজার মুরগী মারা গেছে। এছাড়াও আমার স্বজন ও আশে পাশের খামারিদেরও মুরগী মারা গেছে। খুব কষ্টে মুরগিগুলো লালন-পালন করেছি। এত গরমের মধ্যে যদি এত লোডশেডিং হয় তাহলে কীভাবে চলে? বার বার পল্লীবিদ্যুৎ অফিসে ফোন দেওয়ার পর লোডশেডিং কমছে না। সরকারের কাছে আমরা ক্ষতিপূরণ চাই। তা না হলে আমাদের পথে বসতে হবে।