ঢাকাসোমবার , ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  1. অপরাধ সংবাদ
  2. অর্থনীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. এক্সক্লুসিভ
  6. কৃষি ও প্রকৃতি
  7. খেলা
  8. গণমাধ্যম
  9. জবস
  10. জাতীয়
  11. জেলার খবর
  12. টপ নিউজ
  13. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
  14. তথ্যপ্রযুক্তি
  15. ধর্ম
আজকের সর্বশেষ সবখবর

উচ্চ বেতনে অনলাইন কোস্পানিতে বিদেশী জব এবং আমরা বেকার যারা

অনলাইন সংস্করণ:
সেপ্টেম্বর ৪, ২০২৩ ৭:০৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

জান্নাতুননেছা তমা, অ্যাডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট: “আমাকে ২৮ টি সিমকার্ড , ৪ টি মোবাইল এবং একটি কম্পিউটার দেওয়া হয়। আমাকে বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালে একাউন্ট করে দেওয়া হয় (হোয়াটসঅ্যাপ, ভাইবার, ফেসবুক, টুইটার, ইন্সট্রাগ্রাম, লিংকডইন, টেলিগ্রাম, মেসেন্জার) একটি সুন্দরী মেয়ের নামে যার সকল ঠিকানা লন্ডনে এবং বলা হয় আমরিকাসহ বিভিন্ন দেশ থেকে লন্ডনে বিজনেস-এ বিনিয়োগকারী খুজে বের করতে। তাদেরকে বেশি লাভের লোভ দেখিয়ে যেন আমি তাদের কাছ থেকে টাকা আনি আমাকে দেওয়া ব্যাংক একাউন্টে “ – ঠিক এমনভাবেই কথাগুলো বলছিলো একজন কম্বোডিয়া ফেরত প্রতারিত আভিবাসী/ প্রবাসী। যখন তার গল্পের প্রতি আরও আগ্রহ বাড়লো তখন সে জানালো যে-

“আমি কোম্পানির কাছে বিনিয়োগ এর বিজনেস সম্পর্কে জানতে চাইলে তারা বলে যে “বিভিন্নভাবে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়ে যোগাযোগ বন্ধ করা-ই আমাদের বিজনেস এবং একটি সিম ৬ মাসের বেশি কোনভাবেই চালু রাখা যাবে না। এই ৬ মাস মোবাইল, সিম বা কম্পিউটার রেখে আপারটের কোম্পানির নির্দেশিত নির্দিষ্ট সীমানা অতিক্রম করতে পারবে না “ কথাগুলো শোনার পর তাকে বললাম আপনি বের হলেন কিভাবে? সে জানালো-
“ আমাকে সেখানে আটকে রাখা হয়, আমার বাংলাদেশী ব্যাংকের এটিএম কার্ড নিয়ে নেয় এবং মারধর করে, খাবার দেয় না । আমি বিষয়টা বোঝার পর সেখানে চাকরি করতে অনিচ্ছা প্রকাশ করার পর জানতে পারি যে আমাকে তাদের নিকট বিক্রি করা হয়েছে। আমি কোন কাজের ভিসায় বিদেশে যায়নি বরং আমি একজন বিক্রয় হওয়া দাস। তাদের ব্যবহার আর কথায় আমি বুঝতে পারি যে আমার মৃত্যু অবধারিত এবং অনুরোধ করে তাদের কাছ থেকে বের হওয়ার কথা বললে তারা তাদের টাকা ফেরত দিতে বলে এবং আমি বেচে ফেরার সুযোগ পেয়ে টাকা দিতে রাজি হই। বাড়ি থেকে টাকা জোগাড় করে ২০০০ ডলার তাদেরকে পরিশোধ করে নিজ খরচে সেখান থেকে বের হই কোনমতে। তারপর আমার দালাল আমাকে অন্য কোথাও কাজ করতে দিবে না বলে কিন্তু আমি নিজে চেষ্টা করি কাজ যোগাড় করতে। আমি নিজ থেকে চেষ্টা করলেও সে আমাকে ওখানে টিকতে দেয়নি কেননা আমার মাধ্যমে তাদের বিজনেস তথ্য ফাস হতে পারে, এমতাবস্থায় আমি বিভিন্ন বিপদের সম্মুখীন হতে থাকলে এক পর্যায়ে শুধু প্রান বাচিয়ে দেশে ফিরে এসেছি ।
– অভিবাসন নিয়ে কাজ করতে এসে বিভিন্ন সময়ে আমি বিভিন্ন অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছি। আজও তাই। তবে আজকের কেইস স্টোরি টা আমাকে ভিন্ন তথ্য দিয়েছে এবং আমার মনে হয়েছে আমাদের বেকার সমাজের মধ্যে সচেতনতা দরকার যে , আমরা যে কোম্পানিতে চাকরি করতে যাচ্ছি তা আসলে কতটা বৈধ বা আমার বিদেশী চাকরির পেছনে বিনিয়োগের টাকা টা পানিতে ফেলছি না তো!!
ভিকটিম শফিকুল (ছদ্মনাম) তার বৈদেশিক চাকরিটার জন্য ৬ লাখ টাকা খরচ করে দেশ থেকে এবং নিজের প্রাণ বাচিয়ে ফিরতে তাকে আরও ২.৫০ লাখ টাকা খরচ করতে হয় বিদেশের মাটিতে।
কম্বোডিয়া যাওয়ার পর তাকে প্রথমে ১৪ দিন একটি রুমে থাকতে দেয় এবং কাজে যোগদান করতে তাকে তিনবার ভিন্ন স্থানে পাঠায় তার নিয়োগকারী আফিস। শেষ পর্যায়ে সে জানতে সক্ষম হয় যে তাকে বিক্র করা হয়েছে । ভাগ্য সুপ্রসন্ন থাকায় শফিকুল দেশে ফিরতে পারলেও হয়েছে নিঃস্ব। বিভিন্ন সমিতি আর ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে পাড়ি জমিয়েছিল বিদেশের মাটিতে একটু সুখের আশায় যার সবটুকু নিঃশ্বেষ হয়েছে তার প্রাণ বাচানোর যুদ্ধে। শফিকুলের ভাষ্যমতে সেখানে আরও অনেকে কাজ করছে বাধ্য হয়ে, বাড়ি ফিরে আসার কোন উপায় নেই যাদের হাতে তারা জীবনের সাথে জুয়া খেলছে বৈদেশিক সেই উচ্চ বেতনের দামী চাকরিতে।
আমাদের আজকের যুবসমাজ বৈদেশিক চাকরির দিকে ঝুকে পড়েছে দেশীয় চাকরির বাজারে হাহাকার দেখে। যে যার পছন্দসই কাজের জন্য নিজেকে প্রস্তত করে চলেছে নতুন আঙ্গিকে। আমাদের এই তরুন জনশক্তি যেন ধোকা বা ঝুকিতে না পড়ে সেজন্য আমাদেরকে সচেতন হতে হবে এবং সচেতন স্বেচ্ছাসেবক হয়ে নিজ দায়িত্বে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে আমাদের তরুন সমাজকে বিভিন্ন ধোকামুক্ত রাখতে। উচ্চ বেতন আর নামী কোম্পানি নয়, বরং বৈধ কোম্পানি কিনা তা যাচাই করে বৈদেশিক চাকরিতে যেতে হবে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।