শমিত জামান,বিশেষ প্রতিনিধি:- তখন ভারতে বহুজাতিক কোম্পানির নজর পড়েনি। কারণ ভারত তখনো গরীব দেশ।যখন সেখানে উচ্চ মধ্যবিত্ত ধনী মধ্যবিত্তের হার বাড়লো,ব্যাস ওরাও হামলে পড়লো। একবার বলে ঐশ্বরিয়া মিস ওয়ার্ল্ড, তারপর বলে সুস্মিতা মিস দুনিয়া… যেই ভারতের নারীরা সুন্দরী হবার প্রোডাক্টে অভ্যস্ত হয়ে পড়লো নজর উধাও। আর সেদেশে কেউ বিশ্ব সুন্দরী হয় না।
সুন্দরী, আবেদনময়ী, মন জাগানিয়া বলে কা’কে? কি তার সংজ্ঞা? দূরে যাবার দরকার নাই। পাবনার মেয়েটিকে দেখুন। রমা যখন দীবানাথ সেনকে বিয়ে করে সুচিত্রা সেন এবং সেলুলয়েডে তখন থেকে আমরা পেলাম মনমোহিনী এক নায়িকা।
শুধু তাঁকে দেখার জন্য দুপুরে রাতে রাত জেগে এমন আকুতি ভাবা যায় এখন? হিন্দি ছবির দাপট মিডিয়ার প্রচার বাদ দিলে উত্তম সুচিত্রা ই উপমহাদেশের সেরা জননন্দিত জুটি।
প্রেম বিরহ মিলন ও রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতার এক যুগলবন্দী। বাংলা সিনেমার করুণ এই সময়ে বড় বেশী মনে পড়ে এদের। সুচিত্রা সেনের অভিনয় ও অসাধারণ। আঁধি দেখলেই আপনার স্মৃতিতে ইন্দিরা গান্ধী ফিরে আসবেন। এমনই তাঁর ক্ষমতা ছিলো অভিনয়ের।
যেটা সবচেয়ে অবাক করে নিজেকে গুটিয়ে নেয়া। আজকাল যারা গুটিয়ে নেয় তারাও মিডিয়ায় এসে সে কথা বলতে বলতে আমাদের ক্লান্ত করে তোলে। আরো প্রচার পায়। যেমন আমাদের শাবানা।
সুচিত্রা সেন সেই যে গেলেন আর আসেননি। শ্রুত যে তিনি রামকৃষ্ণ মিশন ছাড়া কোথাও যেতেন না। এই আড়ালের নাম পরিমিতি বা সময় মতো সরে যাওয়া কিংবা নায়িকা ইমেজ জাগিয়ে রাখা, যেটাই হোক,এটা সবাই পারেনা। তিনি পেরেছিলেন।
জীবনানন্দের কবিতার ভাষায় বলি,
সব পাখি ঘরে আসে সব নদী
ফুরোয় এ জীবনের সব লেনদেন
থাকে শুধু অন্ধকার মুখোমুখি বসিবার
সুচিত্রা ( বনলতা) সেন শুভ জন্মদিন নায়িকা।