পলাশ নরসিংদী প্রতিনিধি :
নরসিংদীর পলাশে পরিকল্পিতভাবে বাবা ও দুই ছেলেকে মেরে ফেলার জন্য এই ঘটনা ঘটানো হয় বলে ভুক্তভোগীরা জানান, পলাশ ভাগ্যের পাড়ার মোঃ হাবিব মুন্না এর সাথে শান্তা আক্তার এর বিয়ে হয় তিন বছরের একটা ছেলে সন্তান আছে, গত রমজানে শান্তা আক্তার নিজ ইচ্ছায় হাবিব মুন্নাকে তালাক প্রদান করেন, তাদের তিন বছরের শিশু সন্তান বেশিরভাগ সময় শান্তা আক্তারের কাছে থাকে, শিশু সন্তানকে তার আপন চাচা হাসিব আহমেদ হিমু কিছু দিনের জন্য বেড়াতে নিতে আসলে, হাসিব আহমদ হিমু কে কোন কথা না বলেই চাপাতি ও ছুরি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত করে, সন্ত্রাসী শাহীন ও তার বড় ভাই সামিম বলে তোর বড় ভাইকে ফোন করে বল এখানে আসতে, বড় ভাই হাবিব মুন্নাকে ফোন দিলে বড় ভাই হাবিব মুন্না এই খবর শুনা মাত্রই চলে আসেন প্রাক্তন শ্বশুরবাড়িতে, বাড়িতে ঢুকার সাথে সাথে তার উপরেও চড়া হয়ে তাকেও এলো পাতাড়ি চাপাতি ও ছুরি দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত করার পর জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন, হালকা একটু জ্ঞান ফিরলে সন্ত্রাসী শামীম ও শাহিন দুই ভাইকে দিয়ে বলে তোদের বাবাকে ফোন করে বল এখানে আসতে ফোন যদি না করিস তাহলে তোদের দুই ভাইকে মেরে মাটি চাপা দিয়ে দেবো, বাবা মনসুর উদ্দিন আহমেদ কে ফোন করলে বাবা কোন কিছু না বুঝে দুই ছেলের কথায় চলে আসেন হাবিব মুন্নার প্রাক্তন শ্বশুরবাড়িতে, আসার সাথে সাথে কোন কথা না বলেই দুই ছেলের সামনেই বাবাকেও মাথায় ও পিঠে চাপাতি ও ছুরি দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত করে ফেলেন, বাবা ছেলে তিনজন যখন জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন তখন অচেনা এক সিএনজির মধ্যে বাবা ছেলেকে তুলে দেন, সিএনজিওয়ালা পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে আসেন,শামসুদ্দিন জানান এই ঘটনা সাথে জড়িত, মোঃ হাবিব মুন্নার সাবেক শশুর শহীদুল্লাহ ( ৪৮), শাশুড়ি সেলিনা বেগম (৪৫), সমন্ধি শামীম (৩৫), শালা শাহীন (২৮)তারগাও সেলিনা ভিলায় সাবেক শ্বশুরের নিজ বাড়িতে ১৮/১০ /২৪ ইং সন্ধ্যা ৬ গটিকার সময় পরিকল্পিতভাবে ভাডাটে সন্ত্রাসী এনে জানে মেরে ফেলার জন্য বাবা ও দুই ছেলেকে হাতে মাথায় বুকে পিঠে পায়ে চাপাতি ছুরি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করেন, মোঃ মনসুর উদ্দিন আহমেদ বাদী হয়ে পলাশ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন,
পলাশ থানার অফিসার ইনচার্জ শহিদুল ইসলাম এর কাছ থেকে জানতে চাইলে তিনি বলেন তদন্ত চলছে তদন্ত সাপেক্ষে আইনে যা ব্যবস্থা নেওয়া আমরা তা ব্যবস্থা গ্রহণ করব।