ঢাকা ০৭:০১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চেতনানাশক খাইয়ে মাদ্রাসার দুই ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ সভাপতির বিরুদ্ধে

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি।।

ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈলে খাবারের সাথে চেতনা নাশক খাইয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে মাদ্রাসা সভাপতির বিরুদ্ধে।

গত বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) উপজেলার ভরনিয়া দারুল হাদিশ ওয়াহ দাওয়াত আসসালা ফিয়্যাহ
মাদ্রাসার এতিমখানা মহিলা হোস্টেলে ঘটনাটি ঘটে।

জানা যায়, ২০১১ সালে স্থানীয়দের আর্থিক সহযোগিতায় রাণীশংকৈল উপজেলার ভরনিয়া গ্রামে ‘ভরনিয়া দারুল হাদিশ ওয়াহ দাওয়াত আসসালা ফিয়্যাহ মাদরাসাটি গড়ে উঠে। মাদরাসাটির দুইটি শাখা রয়েছে।

একটি ছাত্রীদের জন্য আবাসিক এবং অপরটি ছাত্রদের জন্য অনাবাসিক। আবাসিকে ১৫-১৬ জন কিশোরী রাতযাপন করে। আব্দুল করিম রাতের বেলা প্রায় সময় আবাসিকে যাতায়াত করতেন এবং মেয়েদের জুস খাওয়াতেন। জুসে মেশানো থাকতো চেতনানাশক। আর সেই চেতনানাশক খাইয়ে ছাত্রীদের ধর্ষণ করতেন।

গত ৪ জুলাই বৃহস্পতিবার সব ছাত্রীদের ছুটি দেওয়া হলেও ৩ জন ছাত্রীকে সভাপতির নির্দেশে ছুটি দেওয়া হয়নি। মাদরাসার সভাপতি আব্দুল করিম ওই রাতে গিয়ে ওই ৩ জনের মধ্যে ২ জন কিশোরীকে ঘুমের ওষুধ মেশানো জুস খাওয়ায়। কিশোরীরা ঘুমিয়ে গেলে গভীর রাতে মাদরাসার ভেতরে প্রবেশ করে দুই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন।

৬ দিন যাবৎ বিভিন্ন ভাবে রফাদফার চেষ্টা করেও সমাধান না হওয়ায় থানায় অভিযোগ দিয়েছে বলে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে জানা গেছে।

এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগীর পরিবারের লোকজন জানান, মাদ্রাসা সভাপতি ভরনিয়া গ্রামের মৃত- মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে আব্দুল করিম মিলার ছাত্রীদের প্রতিদিনের খাবারের ব্যবস্থা নেওয়ার সুবাদে সেদিন রাতে জুস,পাউরুটি ও কলার সাথে চেতনানাশক মিশিয়ে মধ্যে রাতে ২ জন ছাত্রীকে ধর্ষণ করে।

ঘটনার দিন গভীর রাতে মুন্নি(১০) নামে একজন ছাত্রীর ঘুম ভেঙে গেলে সে লাইট অন করে দেখতে পায় মিতু(১২) ও সাদিয়া(১০) নামে দুইজন ছাত্রীর সাথে অশ্লীলতাহানি করছেন মাদ্রাসা সভাপতি আব্দুল করিম।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মাইনুদ্দিন কাবুল বলেন, এটি নিঃসন্দেহে একটি ঘৃনিত কাজ
তাও আবার মাদ্রাসা হোস্টেলে। বিষয়টি নিয়ে কয়েকদিন যাবৎ সমাধানের চেষ্টা
করেছি আব্দুল করিম পলাতক থাকায় বিষয়টি সমাধান হয়নি।

এ বিষয়ে রাণীশংকৈল থানা অফিসার ইনচার্জ জয়ন্ত কুমার সাহা জানান, বিষয়টি আমরা শুনেছি। আমরা
তাদের থানায় আসতে বলেছি। তবে এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত লিখিত কোন অভিযোগ
আমি হাতে পাইনি। অভিযোগ হাতে পেলে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত
ব্যবস্থা নেওয়া হবে

ট্যাগস :

মিথ্যা ডাকাতি মামলায় হয়রানির অভিযোগ

চেতনানাশক খাইয়ে মাদ্রাসার দুই ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ সভাপতির বিরুদ্ধে

আপডেট : ১২:৩৫:৫২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই ২০২৪

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি।।

ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈলে খাবারের সাথে চেতনা নাশক খাইয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে মাদ্রাসা সভাপতির বিরুদ্ধে।

গত বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) উপজেলার ভরনিয়া দারুল হাদিশ ওয়াহ দাওয়াত আসসালা ফিয়্যাহ
মাদ্রাসার এতিমখানা মহিলা হোস্টেলে ঘটনাটি ঘটে।

জানা যায়, ২০১১ সালে স্থানীয়দের আর্থিক সহযোগিতায় রাণীশংকৈল উপজেলার ভরনিয়া গ্রামে ‘ভরনিয়া দারুল হাদিশ ওয়াহ দাওয়াত আসসালা ফিয়্যাহ মাদরাসাটি গড়ে উঠে। মাদরাসাটির দুইটি শাখা রয়েছে।

একটি ছাত্রীদের জন্য আবাসিক এবং অপরটি ছাত্রদের জন্য অনাবাসিক। আবাসিকে ১৫-১৬ জন কিশোরী রাতযাপন করে। আব্দুল করিম রাতের বেলা প্রায় সময় আবাসিকে যাতায়াত করতেন এবং মেয়েদের জুস খাওয়াতেন। জুসে মেশানো থাকতো চেতনানাশক। আর সেই চেতনানাশক খাইয়ে ছাত্রীদের ধর্ষণ করতেন।

গত ৪ জুলাই বৃহস্পতিবার সব ছাত্রীদের ছুটি দেওয়া হলেও ৩ জন ছাত্রীকে সভাপতির নির্দেশে ছুটি দেওয়া হয়নি। মাদরাসার সভাপতি আব্দুল করিম ওই রাতে গিয়ে ওই ৩ জনের মধ্যে ২ জন কিশোরীকে ঘুমের ওষুধ মেশানো জুস খাওয়ায়। কিশোরীরা ঘুমিয়ে গেলে গভীর রাতে মাদরাসার ভেতরে প্রবেশ করে দুই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন।

৬ দিন যাবৎ বিভিন্ন ভাবে রফাদফার চেষ্টা করেও সমাধান না হওয়ায় থানায় অভিযোগ দিয়েছে বলে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে জানা গেছে।

এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগীর পরিবারের লোকজন জানান, মাদ্রাসা সভাপতি ভরনিয়া গ্রামের মৃত- মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে আব্দুল করিম মিলার ছাত্রীদের প্রতিদিনের খাবারের ব্যবস্থা নেওয়ার সুবাদে সেদিন রাতে জুস,পাউরুটি ও কলার সাথে চেতনানাশক মিশিয়ে মধ্যে রাতে ২ জন ছাত্রীকে ধর্ষণ করে।

ঘটনার দিন গভীর রাতে মুন্নি(১০) নামে একজন ছাত্রীর ঘুম ভেঙে গেলে সে লাইট অন করে দেখতে পায় মিতু(১২) ও সাদিয়া(১০) নামে দুইজন ছাত্রীর সাথে অশ্লীলতাহানি করছেন মাদ্রাসা সভাপতি আব্দুল করিম।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মাইনুদ্দিন কাবুল বলেন, এটি নিঃসন্দেহে একটি ঘৃনিত কাজ
তাও আবার মাদ্রাসা হোস্টেলে। বিষয়টি নিয়ে কয়েকদিন যাবৎ সমাধানের চেষ্টা
করেছি আব্দুল করিম পলাতক থাকায় বিষয়টি সমাধান হয়নি।

এ বিষয়ে রাণীশংকৈল থানা অফিসার ইনচার্জ জয়ন্ত কুমার সাহা জানান, বিষয়টি আমরা শুনেছি। আমরা
তাদের থানায় আসতে বলেছি। তবে এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত লিখিত কোন অভিযোগ
আমি হাতে পাইনি। অভিযোগ হাতে পেলে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত
ব্যবস্থা নেওয়া হবে