ঢাকা ০৫:৫৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বেড়েই চলেছে ফেরদৌস তালুকদার ও ফজলে রাব্বির ভূমি দস্যুতা

বিশেষ প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলার বেলুয়ায় আঃ হাকিম (মাষ্টার) এর রেকর্ডীয় মালিক হতে ক্রয়কৃত ২.৭৯ একর (খাজনা-খারিজ করা) জমি রয়েছে নন্দগাঁও মৌজায় যার অবস্থান ফেরদৌস তালুকদার এর বাড়ির পশ্চিমে। দীর্ঘদিন ধরে শান্তি ও কোন রকম ঝামেলা ছাড়াই ওই জমির ভোগ-দখল করে আসছিলেন আঃ হাকিম।

কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে চাষাবাদে বাধা দিয়ে আসছে ফেরদৌস তালুকদার (বাবু) হাজি ও তার ভাই ফজলে রাব্বির। হাকিম( মাষ্টার) আবাদ করলেও ফসল তুলে নিয়ে যাচ্ছে ওই দুই ভাই। এমনকি আঃ হাকিমকে জমিতে গেলে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছেন ভূমি দস্যু দুই ভাই।

এমতাবস্থায় ভূমি দস্যু দুই ভাইয়ের কবল থেকে রক্ষা পেতে এবং নিজের নিশ্চয়তার দিকটা চিন্তা করে ঠাকুরগাঁও জেলা সিভিল কোর্টে চিরস্থায়ী নিষেধাক্কার জন্য একটি মামলা করেন আঃ হাকিম। কিন্তু আদালতের কার্যকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মূল কাগজপত্রের জন্য বার বার সময় প্রার্থনা করেন। তারপরও ঠিকমত হাজিরাও দেয়না ওই দুই ভাই।

তারপরও তাদের সময় প্রার্থনার প্রেক্ষিতে আদালত এ যাবত প্রায় ২৫-৩০ বার সময় মঞ্জুর করেছিলেন। যেখানে আদালতে লিখিত জবাবের প্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল করতে বলা হলে ফেরদৌস তালুকদার ও তার ভাই ফজলে রাব্বির তাত্ত্বিকভাবে বুজিয়ে দিয়েছেন তাদের কাছে কোন কাগজপত্র নেই ।

থানায় আঃ হাকিম (মাষ্টার) এর ছেলে রাজু এ বিষয়ে একটি সাধারণ জিডি করে। যা এনজি আর মামলা হয়ে ১০৭ ধারায় করা হয়। পরে ফেরদৌস তালুকদার (বাবু) হাজি ও তার ভাই ফজলে রাব্বি আদালতে মুচলেকা দিয়ে আসে।

হরিপুর উপজেলার এসিল্যান্ড অফিসে একটি অভিযোগও দাখিল করা হয়। অভিযোগের তদন্তও করা হয় । তদন্তের পরে এসিল্যান্ড অফিসে ফেরদৌস তালুকদার (বাবু) হাজি ও তার ভাই ফজলে রাব্বিরকে হাজিরা দিতে নোটিশ করা। সেখানেও এসিল্যান্ড অফিসকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে একবারও হাজির হয়নি ফেরদৌস তালুকদার সহ অন্যান্য অভিযুক্তরা।

ট্যাগস :

পলাশে রাশিদুজ্জামান দুলালের বিরুদ্ধে শিশুশিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ

বেড়েই চলেছে ফেরদৌস তালুকদার ও ফজলে রাব্বির ভূমি দস্যুতা

আপডেট : ১০:৪২:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ জুলাই ২০২৪

বিশেষ প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলার বেলুয়ায় আঃ হাকিম (মাষ্টার) এর রেকর্ডীয় মালিক হতে ক্রয়কৃত ২.৭৯ একর (খাজনা-খারিজ করা) জমি রয়েছে নন্দগাঁও মৌজায় যার অবস্থান ফেরদৌস তালুকদার এর বাড়ির পশ্চিমে। দীর্ঘদিন ধরে শান্তি ও কোন রকম ঝামেলা ছাড়াই ওই জমির ভোগ-দখল করে আসছিলেন আঃ হাকিম।

কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে চাষাবাদে বাধা দিয়ে আসছে ফেরদৌস তালুকদার (বাবু) হাজি ও তার ভাই ফজলে রাব্বির। হাকিম( মাষ্টার) আবাদ করলেও ফসল তুলে নিয়ে যাচ্ছে ওই দুই ভাই। এমনকি আঃ হাকিমকে জমিতে গেলে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছেন ভূমি দস্যু দুই ভাই।

এমতাবস্থায় ভূমি দস্যু দুই ভাইয়ের কবল থেকে রক্ষা পেতে এবং নিজের নিশ্চয়তার দিকটা চিন্তা করে ঠাকুরগাঁও জেলা সিভিল কোর্টে চিরস্থায়ী নিষেধাক্কার জন্য একটি মামলা করেন আঃ হাকিম। কিন্তু আদালতের কার্যকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মূল কাগজপত্রের জন্য বার বার সময় প্রার্থনা করেন। তারপরও ঠিকমত হাজিরাও দেয়না ওই দুই ভাই।

তারপরও তাদের সময় প্রার্থনার প্রেক্ষিতে আদালত এ যাবত প্রায় ২৫-৩০ বার সময় মঞ্জুর করেছিলেন। যেখানে আদালতে লিখিত জবাবের প্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল করতে বলা হলে ফেরদৌস তালুকদার ও তার ভাই ফজলে রাব্বির তাত্ত্বিকভাবে বুজিয়ে দিয়েছেন তাদের কাছে কোন কাগজপত্র নেই ।

থানায় আঃ হাকিম (মাষ্টার) এর ছেলে রাজু এ বিষয়ে একটি সাধারণ জিডি করে। যা এনজি আর মামলা হয়ে ১০৭ ধারায় করা হয়। পরে ফেরদৌস তালুকদার (বাবু) হাজি ও তার ভাই ফজলে রাব্বি আদালতে মুচলেকা দিয়ে আসে।

হরিপুর উপজেলার এসিল্যান্ড অফিসে একটি অভিযোগও দাখিল করা হয়। অভিযোগের তদন্তও করা হয় । তদন্তের পরে এসিল্যান্ড অফিসে ফেরদৌস তালুকদার (বাবু) হাজি ও তার ভাই ফজলে রাব্বিরকে হাজিরা দিতে নোটিশ করা। সেখানেও এসিল্যান্ড অফিসকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে একবারও হাজির হয়নি ফেরদৌস তালুকদার সহ অন্যান্য অভিযুক্তরা।