ঢাকা ০৭:১৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নরসিংদীর স্টেডিয়াম সংলগ্ন শহীদ মিনারে শিল্পপতির কোরবানির গরু ভাষা শহীদদের অবমাননা

আর এ লায়ন সরকার/মামুন শাহ পিংকুঃ নরসিংদী পলাশ।

রবিবার নরসিংদী সদর উপজেলার স্টেডিয়াম প্রাঙ্গনে এ চিত্র দেখা গেছে। নরসিংদী জেলা স্টেডিয়াম সংলগ্ন নির্মিত শহীদ মিনারে এরকম ঘটনায় মারাত্মক ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাসহ সচেতন মহল। সরেজমিনে রবিবার বিকেল সকাল থেকে নরসিংদী স্টেডিয়াম সংলগ্ন শহীদ মিনারে এ চিত্র দেখা যায়।

শহীদ মিনারে বিভিন্ন বয়সের মানুষ জুতা, স্যান্ডেল পরে গরু ছাগল বেঁধে ওঠানামা করেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে শহীদ মিনারের অবমাননা করলেও কারো চোখে সে দৃশ্য পড়ছে না।

ভাষা শহীদের স্তম্ভকে অবমাননার অভিযোগ উঠেছে। সেখানে স্তম্ভটির সামনের বেদীতে ট্র্যাকে গরু উঠা নামা করে দিনভর। এতে বেদীর উপর গরু মানুষের উঠা নামা এবং গরুর গোবর দিয়ে বেদীসহ স্তম্ভটি নোংড়ায় পরিণত হয়েছে।

মনোহরদী থেকে গরু বহন করে আনা ট্রাক ড্রাইভার নাম না জানানোর শর্তে বলেন এই গরু বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নরসিংদীর দানবীর আব্দুল কাদের মোল্লা সাহেবের কুরবানীর জন্য আনা হয়েছে, সকালে আনা হয়েছে ছাগল তাই বেঁধে রাখা হয়েছে আর গরু এখানে নামানো হচ্ছে।

শহীদ মিনারে ওঠা মজিবর (৪০) বলেন, এটা হামার অন্যায় হইছে। ছাগল বাধার পর একজন শহীদ মিনার উপর দাঁড়িয়ে থাকা আলম বলেন, পরিবশেটাই এমন। আসলে এটা আমাদের ঠিক হয়নি। কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে ভাষা শহীদদের প্রতি অমর্যাদা করা হচ্ছে।

মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোঃ মোতালিব পাঠান বলেন, শহীদ মিনারে জুতা, স্যান্ডেল পরে ওঠা এটা জাতীকে অপমান করা। কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে। দ্রুত শহীদ মিনারের মর্যাদা রক্ষায় প্রশাসনের প্রতি আহবান জানান তিনি।

নরসিংদী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসমা সুলতানা নাসরিন এর মুঠো ফোনে একাধিকবার ফোন দিলে ফোন রিসিভ না হওয়ায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। নরসিংদী সদর ভূমি সহকারী কমিশনার মোঃ সাইফুল ইসলাম এ বিষয়ে জানান যে আমি শারীরিকভাবে একটু অসুস্থ ইউনো মহোদয়কে জানান ফোন না ধরলে ভিডিও উনার হোয়াটসঅ্যাপে দিয়ে রাখুন।

নরসিংদী জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বদিউল আলম জানান এটা আবেগ অনুভূতির বিষয় আমাদের ভাষা শহীদদের সম্মানের জায়গা কেন এই কাজটি করা হলো অবশ্যই আমরা খতিয়ে দেখব।
এ ব্যাপারে আব্দুল কাদের মোল্লার বক্তব্য নিতে গেলে বাড়িতে না পাওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

ট্যাগস :

মিথ্যা ডাকাতি মামলায় হয়রানির অভিযোগ

নরসিংদীর স্টেডিয়াম সংলগ্ন শহীদ মিনারে শিল্পপতির কোরবানির গরু ভাষা শহীদদের অবমাননা

আপডেট : ১০:১৩:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ জুন ২০২৪

আর এ লায়ন সরকার/মামুন শাহ পিংকুঃ নরসিংদী পলাশ।

রবিবার নরসিংদী সদর উপজেলার স্টেডিয়াম প্রাঙ্গনে এ চিত্র দেখা গেছে। নরসিংদী জেলা স্টেডিয়াম সংলগ্ন নির্মিত শহীদ মিনারে এরকম ঘটনায় মারাত্মক ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাসহ সচেতন মহল। সরেজমিনে রবিবার বিকেল সকাল থেকে নরসিংদী স্টেডিয়াম সংলগ্ন শহীদ মিনারে এ চিত্র দেখা যায়।

শহীদ মিনারে বিভিন্ন বয়সের মানুষ জুতা, স্যান্ডেল পরে গরু ছাগল বেঁধে ওঠানামা করেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে শহীদ মিনারের অবমাননা করলেও কারো চোখে সে দৃশ্য পড়ছে না।

ভাষা শহীদের স্তম্ভকে অবমাননার অভিযোগ উঠেছে। সেখানে স্তম্ভটির সামনের বেদীতে ট্র্যাকে গরু উঠা নামা করে দিনভর। এতে বেদীর উপর গরু মানুষের উঠা নামা এবং গরুর গোবর দিয়ে বেদীসহ স্তম্ভটি নোংড়ায় পরিণত হয়েছে।

মনোহরদী থেকে গরু বহন করে আনা ট্রাক ড্রাইভার নাম না জানানোর শর্তে বলেন এই গরু বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নরসিংদীর দানবীর আব্দুল কাদের মোল্লা সাহেবের কুরবানীর জন্য আনা হয়েছে, সকালে আনা হয়েছে ছাগল তাই বেঁধে রাখা হয়েছে আর গরু এখানে নামানো হচ্ছে।

শহীদ মিনারে ওঠা মজিবর (৪০) বলেন, এটা হামার অন্যায় হইছে। ছাগল বাধার পর একজন শহীদ মিনার উপর দাঁড়িয়ে থাকা আলম বলেন, পরিবশেটাই এমন। আসলে এটা আমাদের ঠিক হয়নি। কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে ভাষা শহীদদের প্রতি অমর্যাদা করা হচ্ছে।

মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোঃ মোতালিব পাঠান বলেন, শহীদ মিনারে জুতা, স্যান্ডেল পরে ওঠা এটা জাতীকে অপমান করা। কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে। দ্রুত শহীদ মিনারের মর্যাদা রক্ষায় প্রশাসনের প্রতি আহবান জানান তিনি।

নরসিংদী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসমা সুলতানা নাসরিন এর মুঠো ফোনে একাধিকবার ফোন দিলে ফোন রিসিভ না হওয়ায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। নরসিংদী সদর ভূমি সহকারী কমিশনার মোঃ সাইফুল ইসলাম এ বিষয়ে জানান যে আমি শারীরিকভাবে একটু অসুস্থ ইউনো মহোদয়কে জানান ফোন না ধরলে ভিডিও উনার হোয়াটসঅ্যাপে দিয়ে রাখুন।

নরসিংদী জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বদিউল আলম জানান এটা আবেগ অনুভূতির বিষয় আমাদের ভাষা শহীদদের সম্মানের জায়গা কেন এই কাজটি করা হলো অবশ্যই আমরা খতিয়ে দেখব।
এ ব্যাপারে আব্দুল কাদের মোল্লার বক্তব্য নিতে গেলে বাড়িতে না পাওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।