ঢাকা ০৫:৫০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পলাশে প্রেমের বলি প্রেমিকা – প্রেমিকের যাবজ্জীবন

নিজস্ব প্রতিবেদক,  পলাশ নরসিংদী।

নরসিংদীর পলাশে প্রেমিকের ছুরিকাঘাতে প্রেমিকা নিহতের ঘটনায় একজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানার সাথে অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

রবিবার (০২ জুন) দুপুরে নরসিংদীর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-৩ আদালতের বিচারক আ.ন.ম ইলিয়াস এই আদেশ দেন।

নিহত রিতা বেগম (৩৩) কিশোরগঞ্জের ভৈরবের কবির মিয়ার মেয়ে এবং সাজাপ্রাপ্ত আসামি জাহাঙ্গীর (২৫) একই জেলার পাকুন্দিয়া এলাকার উসমান গনির ছেলে। রিতা পলাশ উপজেলার তাঁরাগও ব্র্যাক অফিসের বাবুর্চি হিসেবে কাজ করতেন এবং জাহাঙ্গীর ঢাকার কেরানিগঞ্জে কাজ করতো।

আদালত সূত্রে জানা যায়, নিহত রিতা বেগম পলাশ উপজেলার তারাগাঁও ব্র্যাক অফিসের বাবুর্চি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। একই জেলার হবার কারনে ৩৩ বছরের রিতা সাথে ২৫ বছরের জাহাঙ্গীরের প্রেমের সর্ম্পক গড়ে উঠে। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময় তাদের দুজনের প্রায়ই দেখা হতো। ২০২২ সালে ০৬ অক্টোবর রিতার সাথে দেখা করতে ব্র্যাক অফিসের আসেন জাহাঙ্গীর।

অফিস বন্ধের দিন সারারাত অফিসের ভিতরে গোপন সময় কাটায় তারা। রাত্রি যাপনের পর সকালে জাহাঙ্গীরকে বিয়ে করার কথা বললে অফিসের গেস্ট রুমে তার পেটে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় জাহাঙ্গীর। পরে রিতাকে স্থানীয় পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রিতার মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় নিহতের ভাই রাজুমিয়া বাদী হয়ে পলাশ থানায় একটি হত্যা মামলা করলে পুলিশ জাহাঙ্গীরকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করে।

রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট খন্দকার হালিম বলেন, মাত্র ৭ কার্যদিকসে ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে অভিযুক্ত জাহাঙ্গীরকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত।

ট্যাগস :

মিথ্যা ডাকাতি মামলায় হয়রানির অভিযোগ

পলাশে প্রেমের বলি প্রেমিকা – প্রেমিকের যাবজ্জীবন

আপডেট : ০৬:২৬:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ জুন ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক,  পলাশ নরসিংদী।

নরসিংদীর পলাশে প্রেমিকের ছুরিকাঘাতে প্রেমিকা নিহতের ঘটনায় একজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানার সাথে অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

রবিবার (০২ জুন) দুপুরে নরসিংদীর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-৩ আদালতের বিচারক আ.ন.ম ইলিয়াস এই আদেশ দেন।

নিহত রিতা বেগম (৩৩) কিশোরগঞ্জের ভৈরবের কবির মিয়ার মেয়ে এবং সাজাপ্রাপ্ত আসামি জাহাঙ্গীর (২৫) একই জেলার পাকুন্দিয়া এলাকার উসমান গনির ছেলে। রিতা পলাশ উপজেলার তাঁরাগও ব্র্যাক অফিসের বাবুর্চি হিসেবে কাজ করতেন এবং জাহাঙ্গীর ঢাকার কেরানিগঞ্জে কাজ করতো।

আদালত সূত্রে জানা যায়, নিহত রিতা বেগম পলাশ উপজেলার তারাগাঁও ব্র্যাক অফিসের বাবুর্চি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। একই জেলার হবার কারনে ৩৩ বছরের রিতা সাথে ২৫ বছরের জাহাঙ্গীরের প্রেমের সর্ম্পক গড়ে উঠে। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময় তাদের দুজনের প্রায়ই দেখা হতো। ২০২২ সালে ০৬ অক্টোবর রিতার সাথে দেখা করতে ব্র্যাক অফিসের আসেন জাহাঙ্গীর।

অফিস বন্ধের দিন সারারাত অফিসের ভিতরে গোপন সময় কাটায় তারা। রাত্রি যাপনের পর সকালে জাহাঙ্গীরকে বিয়ে করার কথা বললে অফিসের গেস্ট রুমে তার পেটে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় জাহাঙ্গীর। পরে রিতাকে স্থানীয় পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রিতার মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় নিহতের ভাই রাজুমিয়া বাদী হয়ে পলাশ থানায় একটি হত্যা মামলা করলে পুলিশ জাহাঙ্গীরকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করে।

রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট খন্দকার হালিম বলেন, মাত্র ৭ কার্যদিকসে ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে অভিযুক্ত জাহাঙ্গীরকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত।