শুভ জন্মদিন কিংবদন্তি সাহিত্যিক গুন্টার গ্রাস।
.গুন্টার গ্রাসের ঢাকা সফর।
.
তিনিই প্রথম কোন নোবেল বিজয়ী সাহিত্যিক যিনি স্বাধীন বাংলাদেশে এসেছিলেন। অবশ্য তিনি নোবেল পেয়েছিলেন ১৯৯৯ সালে। তাঁর লেখা উপন্যাসের উপর নির্মিত চলচ্চিত্র পেয়েছিলো অস্কার এবং কানের সেরা চলচ্চিত্রের পুরস্কার। অস্কার, নোবেল, কান শীর্ষ তিন পুরষ্কারই পেয়েছেন তিনি।
.
১৯৮৬ সালে যখন গুন্টার গ্রাস যখন ঢাকায় আসেন তখন তাঁর সঙ্গী ছিলেন কবি বেলাল চৌধুরী এবং নাসির আলী মামুন।
.
স্টাইলিশ গোঁফ আর তামাকের পাইপ এই ঔপন্যাসিক, কবি, নাট্যকার ও ভাস্করের পরিচয়ের অংশ হয়ে গিয়েছিল।
এর আগে প্রথমবার কলকাতা আসার পর তিনি ঢাকায় আসার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। ঢাজায় আসার পর তিনি উঠেছিলেন ধানমন্ডি ২৮ নম্বরের ফোর্ট ফাউন্ডেশনের একটি রেস্ট হাউস ছিল। এটির পিছনেও এক কারন আছে। সেখানেই উঠার কারন ছিলো মানুষজন, কবি সাহিত্যিকেরা তাঁর আসার খবর জানতে না পারে।
.
সেই সফরে গুন্টার গ্রাস গিয়েছিলেন লালবাগ কেল্লায়, পুরান ঢাকার শাঁখারিবাজার, বাংলাবাজার,
পুরান ঢাকার নানা রাস্তায়, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের পানাম সিটি, বুড়িগঙ্গা, বিহারি ক্যাম্প সহ নানা জায়গায়। সস্ত্রীক ঘুরেছিলেন রিকশায়।
পুরনো ভবনগুলো নিয়ে স্কেচ ও করেছিলেন তিনি।
প্রচণ্ড রাজনৈতিক সচেতন লেখক ছিলেন গুন্টার গ্রাস। বুশের ইরাক আক্রমণ এবং ইসরায়েলের প্রচণ্ড সমালোচনা করেছিলেন তিনি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নাৎসি বাহিনীতে যোগ দিতে বাধ্য হয়েছিলেন। ইসরায়েল মনে করতো তিনি প্রচণ্ড ইহুদি বিদ্বেষী। আসলে তা নয় গুন্টার গ্রাস ছিলেন প্রকৃত মানবদরদী।
.
আজ নোবেল বিজয়ী কিংবদন্তি জার্মান সাহিত্যিক, নাট্যকার কবি ভাস্কর গুন্টার গ্রাসের জন্মদিন। বিনম্র শ্রদ্ধা তাঁর প্রতি।
(.সূত্রঃ- রোর বাংলা
ছবি- নাসির আলী মামুন।)