ঢাকা ০৩:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর যৌথ অভিযানে সরকারি চালসহ আটক ১

গুইমারায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর যৌথ অভিযানে সরকারি চালসহ আটক ১

Oplus_131072

আবুল হোসেন রিপন, গুইমারা, খাগড়াছড়ি: খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা উপজেলায় সেনাবাহিনীর অভিযানে প্রায় ২০ বস্তা সরকারি চাল অবৈধভাবে বিক্রয় করার সময় চালসহ একজনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃত ব্যক্তি জালিয়াপাড়া এলাকার ব্যবসায়ী মো: সাইফুল ইসলাম।

স্থানীয়রা জানায়, একটি সিন্ডিকেট চক্র সরকারি বিভিন্ন জনসেবা মূলক কর্মসূচি যেমন টিসিবি ও বিজিডির চাল , স্থানীয় ইউপি সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতায় স্থানীয় অসাধু ব্যবসায়ীদের নিকট অল্প দামে বিক্রিয় করে দেয়। যার ফলে এসব খাদ্য শষ্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে স্থানীয় গরিব, দুঃখী ও খেটে খাওয়া মানুষ। তারা আরো জানায়, এখানে ১জন কিংবা দুইজন নয় বরং একটি বড় সিন্ডিকেট চক্র এসব অবৈধ কাজের সাথে জড়িত রয়েছে। সকল অসাধু ব্যবসায়ী ও দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের অপসারণের দাবি করেন স্থানীয় জনগণ।

ঘটনার বিবরণে আরো জানা যায়, বিভিন্ন কর্মসূচির (টিসিবি, বিজিডি) চাল ইউনিয়ন পরিষদে মজুদ থাকা অবস্থায় ট্যাগ অফিসার এর অনুপস্থিতিতে স্থানীয় একটি সিন্ডিকেট চক্র প্রায় ২০ বস্তা চাল বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে গুইমারায় নিয়ে আসলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর একটি দল গুইমারা বাজারের দক্ষিণ গলি থেকে সরকারি প্রায় ২০ বস্তা চালসহ ১জনকে আটক করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট হস্তান্তর করে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে।

ট্যাগ অফিসারবিহীন কিভাবে গুদামের চাল বাহিরে আসলে এই প্রশ্নের জবাবে হাফছড়ি ইউনিয়নের ট্যাগ অফিসার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আব্দুর রহিম মজুমদার বলেন, আমি গুদাম থেকে চাল বাহির করার বিষয় কিছুই জানি না। ১২ নভেম্বর ৪৮০জন কার্ডধারীর মধ্যে ১৩৭ জন অবশিষ্ট ছিলো। আজকে চাল বাহির করার জন্য ইউপি সচিব আমার থেকে কোনো অনুমতি নেয়নি।

একই প্রশ্নের জবাবে হাফছড়ি ইউপি সচিব মো: নাজমুল হাসান তার দায়মুক্তি এড়ানোর জন্য বলেন, চাল বিতরণের অনুমতি নেইনি বিষয়টি সত্য। তবে বিভিন্ন দূরদুরান্ত থেকে আসা জনগণের স্বার্থে অবশিষ্ট কার্ডের চাল বিতরণ করা হয়েছে। এখন কার্ডধারীরা কে কোথায় চাল বিক্রি করেছে তা আমার জানা নেই। তবে এবারের ভুলের জন্য সে সবার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

বিষয়টি নিয়ে গুইমারা থানার অফিসার ইনর্চাজ এনামুল চৌধুরী জানায়, সরকারি চাল অবৈধ ভাবে বিক্রয়ের বিষয়টি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হচ্ছে। তদন্ত স্বাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয়

মাধবদীতে জামায়াতের নবগঠিত কমিটির শহর আমীরের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠিত

আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর যৌথ অভিযানে সরকারি চালসহ আটক ১

গুইমারায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর যৌথ অভিযানে সরকারি চালসহ আটক ১

আপডেট : ০৯:৫৮:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪

আবুল হোসেন রিপন, গুইমারা, খাগড়াছড়ি: খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা উপজেলায় সেনাবাহিনীর অভিযানে প্রায় ২০ বস্তা সরকারি চাল অবৈধভাবে বিক্রয় করার সময় চালসহ একজনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃত ব্যক্তি জালিয়াপাড়া এলাকার ব্যবসায়ী মো: সাইফুল ইসলাম।

স্থানীয়রা জানায়, একটি সিন্ডিকেট চক্র সরকারি বিভিন্ন জনসেবা মূলক কর্মসূচি যেমন টিসিবি ও বিজিডির চাল , স্থানীয় ইউপি সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতায় স্থানীয় অসাধু ব্যবসায়ীদের নিকট অল্প দামে বিক্রিয় করে দেয়। যার ফলে এসব খাদ্য শষ্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে স্থানীয় গরিব, দুঃখী ও খেটে খাওয়া মানুষ। তারা আরো জানায়, এখানে ১জন কিংবা দুইজন নয় বরং একটি বড় সিন্ডিকেট চক্র এসব অবৈধ কাজের সাথে জড়িত রয়েছে। সকল অসাধু ব্যবসায়ী ও দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের অপসারণের দাবি করেন স্থানীয় জনগণ।

ঘটনার বিবরণে আরো জানা যায়, বিভিন্ন কর্মসূচির (টিসিবি, বিজিডি) চাল ইউনিয়ন পরিষদে মজুদ থাকা অবস্থায় ট্যাগ অফিসার এর অনুপস্থিতিতে স্থানীয় একটি সিন্ডিকেট চক্র প্রায় ২০ বস্তা চাল বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে গুইমারায় নিয়ে আসলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর একটি দল গুইমারা বাজারের দক্ষিণ গলি থেকে সরকারি প্রায় ২০ বস্তা চালসহ ১জনকে আটক করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট হস্তান্তর করে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে।

ট্যাগ অফিসারবিহীন কিভাবে গুদামের চাল বাহিরে আসলে এই প্রশ্নের জবাবে হাফছড়ি ইউনিয়নের ট্যাগ অফিসার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আব্দুর রহিম মজুমদার বলেন, আমি গুদাম থেকে চাল বাহির করার বিষয় কিছুই জানি না। ১২ নভেম্বর ৪৮০জন কার্ডধারীর মধ্যে ১৩৭ জন অবশিষ্ট ছিলো। আজকে চাল বাহির করার জন্য ইউপি সচিব আমার থেকে কোনো অনুমতি নেয়নি।

একই প্রশ্নের জবাবে হাফছড়ি ইউপি সচিব মো: নাজমুল হাসান তার দায়মুক্তি এড়ানোর জন্য বলেন, চাল বিতরণের অনুমতি নেইনি বিষয়টি সত্য। তবে বিভিন্ন দূরদুরান্ত থেকে আসা জনগণের স্বার্থে অবশিষ্ট কার্ডের চাল বিতরণ করা হয়েছে। এখন কার্ডধারীরা কে কোথায় চাল বিক্রি করেছে তা আমার জানা নেই। তবে এবারের ভুলের জন্য সে সবার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

বিষয়টি নিয়ে গুইমারা থানার অফিসার ইনর্চাজ এনামুল চৌধুরী জানায়, সরকারি চাল অবৈধ ভাবে বিক্রয়ের বিষয়টি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হচ্ছে। তদন্ত স্বাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।